শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭৩

র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে ডেকেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯  

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতে (মোবাইল কোর্ট) দেওয়া সাজার আদেশের অনুলিপি না দেওয়ায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে র‌্যাব সদর দপ্তরের ১৮ জুলাই দেওয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সাত দিনের মধ্যে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাবের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, কেন সার্টিফাইড অনুলিপি দেওয়া হয়নি আগামী ১ ডিসেম্বর হাজির হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খালপাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০-এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেননি মিজান মিয়া। আপিল করা করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার।

এই বিভাগের আরো খবর