শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪২৪

যেখানেই থাকবেন, ভালো থাকবেন: নগর বাউল

সুমন হোসেন,

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২০  

আশির দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের। সেই থেকে পথচলা বাংলা সিনেমার প্লে-ব্যাকে। বাংলা সিনেমার গানে তার অবদান লিখে বলে শেষ করা যায় না, যাবেও না। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। প্লেব্যাক সম্রাটের মৃত্যুতে তার সহকর্মীরা যেমন ব্যথিত হয়েছেন, তেমনি তার ভক্তরা। শোকাচ্ছন্ন দেশের কিংবদন্তি শিল্পীরাও। কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নগর বাউল গায়ক খ্যাত জেমস। 

তিনি বলেন, ‘এন্ড্রু দা আমার কয়েক বছরের সিনিয়র। আমরা একই অঞ্চলের মানুষ। একসঙ্গে কতশত স্মৃতি রয়েছে তা বলে বোঝাতে পারব না। একটি পত্রিকায় আমি তার হাতে ক্রেস তুলে দিয়েছিলাম। তার হাসিমাখা মুখ আর ওই ক্রেস্ট নেয়ার মুহূর্তের আনন্দটা ছিল অসাধারণ। সে সময় তার সঙ্গে কানে কানে কথা হয়েছিল। ‘কেমন আছেন সব ঠিকঠাক তো?’ মনে হয় দুষ্টুমির ছলেই এ কথাটা বলেছিলাম। এন্ড্রু দা শুনে হাসছিলেন। দাদা শুনে হেসেছিলেন। একদম সরল সহজ মানুষ ছিলেন। সেই মায়াভরা মুখ আর কোনো সময়ে দেখতে পারব না। এটা ভাবতেই চোখে জল আসছে।’
সবশেষ কবে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে কথা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাদা যখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন কথা হয়েছিল। দাদাকে আমি চিকিৎসা বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ করার কথা বলেছিলাম। সেদিন দাদা খুব খুশি হয়েছিলেন। দাদা আজ আমাদের মাঝে আর নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। সংগীতে তার আসন কোথায় সেটা সবারই জানা। তিনি অনেক কিছুর উদ্ধে ছিলেন। দাদা যেখানেই থাকবেন, ভালো থাকবেন।

ক্যানসারের কাছে হেরে চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সোমবার  (০৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এন্ড্রু কিশোরের দেহে ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যানসার নির্মুল হয়নি তার। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেয়ায় গত ১১ জুন ক্যানসার নিয়েই ফিরতে হয়েছে দেশে। তারপর থেকেই ছিলেন রাজশাহীতে। রোববার শারীরিক অবস্থার ভীষণ অবনতি ঘটে।

এই বিভাগের আরো খবর