শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৩৭

যুবলীগেও শুদ্ধি অভিযান!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছাত্রলীগের পর আওয়ামী যুবলীগেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে সংগঠনের ট্রাইব্যুনালে ডাকা হচ্ছে। তারা হচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

এই দুই নেতার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত দু'জনকে সংগঠনের ট্রাইব্যুনালে ডাকা হবে। শৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যুবলীগে একটি ট্রাইব্যুনাল কমিটি রয়েছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেছেন, অভিযোগের বিষয়ে দুই নেতার বক্তব্য জানার পর তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর ট্রাইব্যুনালে ডাকাটাই শোকজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে দুই নেতাকে ট্রাইব্যুনাল কমিটিতে ডাকা হবে। সেই সঙ্গে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। এরপর নেওয়া হবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। তবে, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তারা গতকাল পর্যন্ত কোনো চিঠি পাননি। উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে দুই নেতা অবশ্য কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর যুবলীগ নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের দোয়া অনুষ্ঠান ও যুব জাগরণ সমাবেশের প্রসঙ্গ এলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ওই বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতি-নির্ধারক নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদাবাজির টাকা হালাল করার জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগের একজন নেতা চার থেকে পাঁচজন দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করেন। বড় বড় অস্ত্র নিয়ে অস্ত্রধারীরা তার চারপাশে অবস্থান করে। এ সব দেখলে মানুষের কী ধারণা হয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এখন কেন ওই নেতা এত নিরাপত্তাহীনতায় আছেন?

'এমন যুবলীগের দোয়ার প্রয়োজন নেই' জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, কিছুতেই এসব অপকর্ম সহ্য করা হবে না। অস্ত্রবাজি ও ক্যাডার রাজনীতি চলবে না। যে কোনো মূল্যে এই অপরাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতাদের একটি ছবি দেখান। ওই ছবিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রহরায় যুবলীগের একজন নেতাকে দেখা গেছে। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে জুয়ার আড্ডায় অংশগ্রহণের অভিযোগ আনেন।

এই বিভাগের আরো খবর