বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩১২

মিয়ানমার থেকে আসছে পেঁয়াজ

তরুণ কন্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

দেশে সংকট শুরুর পর মিয়ানমার থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার টেকনাফ স্থলবন্দরের এসেছে  ৯৬৫ টন পেঁয়াজ।  

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনে মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়েছে চার হাজার ৫৬৪.১৫৮ টন পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজের সর্বমোট আমদানিমূল্য ২২০ কোটি ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার ১০৪ টাকা। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ কেজিতে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। 

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৯৬৫.০৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজের কোনো শুল্ক দিতে হয় না বলে জানান তিনি।

জানা যায়, নৌপথে মিয়ানমার থেকে বড় ট্রলারে এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। আমদানি করা পেঁয়াজগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাক ভর্তি করে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ আড়তে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকাও তৈরি করেছেন প্রশাসন। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে কেজিতে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। 

টেকনাফ স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতেশামুল হক জানান, মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম কমছে না। তবে পেঁয়াজের দাম কমাতে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমদানীকৃত পেঁয়াজ দ্রুত খালাসের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা দিনে-রাতে কাজ করে পেঁয়াজ খালাস করছেন। ফলে এসব পেঁয়াজ দ্রুত বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে আছেন। টেকনাফ বন্দর থেকে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। টেকনাফে একটি মাত্র ট্রাক ট্রান্সপোর্ট হওয়ার কারণে এ অবস্থা বলে জানান তাঁরা। 

জানা যায়, পেঁয়াজের সংকট শুরু হওয়ার পর মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজার ৬২৪.৯১০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে গত নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০.৪৫২ টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩.০২৭ টন, সেপ্টেম্বরে তিন হাজার ৫৭৩.১৪১ টন ও আগস্ট মাসে ৮৪.১৩২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর