বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৪ ১৪৩১   ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭৬

মি টু’র উদ্দেশ্য, অতঃপর...

কবীর চৌধুরী তন্ময় 

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

বেড়াতে গিয়েছি এক প্রতিবেশীর বাড়িতে। উঠানে তিনটা ছেলে মার্বেল খেলছে। আমি ঘরের ঠিক দুপাশের সিঁড়ির একটিতে বসে তাদের খেলা দেখছি। মিনিট পাঁচেক পরেই কী একটা মার্বেলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছেলেগুলো ঝগড়া শুরু করে। এরপর একটা সময় খেলা বন্ধ করে যার যার মতো চলে গেলো। আমি তখনও ঠায় বসে আছি।

তারও মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সবুজ রঙের একটি চিকন সাপ হঠাৎ আমার ডান পায়ের ওপর পড়েই আঁকাবাঁকা হয়ে পাশের ঘরে ঢুকে পড়লো। আমি কিছুক্ষণ বসে বসে ভাবছি, একী..! কী করে এটা এখানে এলো..? একটু দাঁড়িয়ে দেখি, সিঁড়ির পাশেই একটা নারিকেল গাছ। হয়তো নারিকেল গাছ থেকেই এটা মাটিতে পড়ে থাকতে পারে...।

ভাবির ডাক পড়লো। বললাম, একটা সাপ আমার পায়ে পড়ে পাশের ঘরে ঢুকে পড়েছে। কিছু একটা না করলে হয়তো ওই ঘরে কেউ ঢোকার সাথে সাথে কামড় বসাতে পারে।

কিন্তু না, আমার কথাটা পাত্তা না দিয়ে বরং বলছে, আমি নাকি দিবাস্বপ্ন দেখেছি।

আমি বারবার বলার পরেও বিশ্বাস না করে ভাইকে ডেকে এনে বলে, তোমার ভাইয়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেখো, এই শুকনো জায়গায় নাকি সাপ এসেছে! তাও তন্ময়ের পায়ের ওপর পড়েও তাকে কামড় না দিয়ে এই ঘরে ঢুকেছে!

আমার দূরসম্পর্কের ভাইটিও আমার কথা বিশ্বাস করেনি। বরং আমার নাকি মাথা খারাপ হয়েছে। এখানে সাপ আসার কথা নয়।

বারবার বলার পরেও কেউ আমার কথায় বিশ্বাস করতে পারছে না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই খাবারের টেবিলের দিকে না গিয়ে আমিও ওই ঘরে যাতে কেউ প্রবেশ না করে সবাইকে নিষেধ করতে থাকি। এমনি করতে করতে মিনিট পাঁচ-দশের মধ্যে প্রায় অনেকেই জড়ো হয়েছে।

অদ্ভুদ ব্যাপার, একটি মানুষও আমার কথা বিশ্বাস করছে না। এই দিনের বেলায় শুকনো মাটিতে সাপ আসতে পারে, উপর থেকে পড়তে পারে এবং পায়ের ওপর পড়েও কামড় না দিয়ে পাশের ঘরে ঢুকতে পারে- এটি বিশ্বাস না করে রীতিমত আমাকে সবাই পাগল বলে আখ্যায়িত করলো।

হঠাৎ একটি মেয়ে বলে উঠলো, তোমরা এভাবে না বলে একটিবার ঘরের ভেতর উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করো। একটা লাঠি দিয়ে ট্রাই করো...।

আমি খুব সাহস পেয়েছি মেয়েটির কথায়। অন্তত একটি মানুষকে পাওয়া গেলো ভরসা করতে, বিশ্বাস করতে।

আর মেয়েটির কথায় তার বাবা একটা লাঠি নিয়ে ঘরের ভেতর খাটের নিচে নাড়া দিতেই তিনি দেখতে পেয়ে, ও-মা-গো...! আসলেই সাপ আছে বলে লাঠি ফেলে কিছুটা দৌড়ের মতো ঘর থেকে বের হতে দেখেই সবাই এক রকম দৌড়ে ঘরের খুব পাশ থেকে একটু দূরে গিয়ে সরে দাঁড়িয়েছে!

অধিকাংশ মানুষ সাপের ব্যাপারটি নিয়ে বিশ্বাস করলেও আরেকটি মহল না দেখা পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারেনি। পরে সাপটিকে মেরে দেখানোর পর তখন হয়তো সবার ভেতর বিশ্বাস জন্ম হলেও, আমাকে অকারণে পাগল-ছাগল বলার জন্য একটি মানুষও দুঃখ প্রকাশ করেনি।

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মি টু আন্দোলন দৃশ্যমান হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো নিজেদের ঘৃণা-কষ্টগুলো নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে। শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো একে একে বর্ণনা করেছে।

সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বা একটি মহল ওইসব ঘটনার তথ্য-প্রমাণ বা সাক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাথে কে ছিল? শরীরের কোথায় কোথায় কত জোরে স্পর্শ করেছে? স্পর্শের অনুভূতি কেমন ছিল? দীর্ঘদিন পরে হঠাৎ এগুলো বলার কারণ কী? এতদিন বলা হয়নি কেন? বিদেশের মাটিতে বসে কেন? ভিকটিম একা কেন গেল, কী তার উদ্দেশ্য ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্নে প্রশ্নে একাকার!

একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলায় অনেকে বেজায় খেপেছেন। কারণ, জীবিত অবস্থায় তিনি সবার সঙ্গে পিতৃতুল্য বা ভালো বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখলেও অভিযোগকারীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতে পারে, যৌনতার জন্য তাকে ফোর্স করতে পারে, এটা তারা বিশ্বাস করতে নারাজ। আর এটাকে জায়েজ করতে অনেকে নতুন নতুন গল্প-কাহিনি জুড়ে দিচ্ছেন।

আমাদের মনে রাখা উচিত, যৌন নির্যাতন কখনও তৃতীয় ব্যক্তির সামনে হয় না। এটি সম্ভব নয়। যৌন নির্যাতন দুটো মানুষের একে অপরের সম্মতির বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করার মাঝে হয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থাকতে পারে।

হ্যাশ ট্যাগ মি-টু নিয়ে অনেকের স্ট্যাটাস পড়েছি। দীর্ঘদিন লালন করা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ এটি। যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ওইসব মানুষের কষ্ট, দীর্ঘদিনের দুঃস্বপ্ন, মাঝ রাতে বুক ধড়ফড় করে ঘুম ভাঙা, অজানা ভয়গুলো আমাদের কারো পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।

আর যৌন নির্যাতন শুধু মেয়ে-নারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ-এটা কিন্তু নয়। অনেক ছেলে-পুরুষও এই যৌন নির্যাতনের শিকার। হয়তো সামাজিক লজ্জাবোধ থেকে অনেকেই এটা চেপে রেখেছে। কারণ, আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র বিশেষ করে এই রাষ্ট্রে বসবাস করা কতিপয় হোয়াইট কালার ভদ্রলোক উল্টো যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির ওপর দোষ চাপিয়ে প্রতিবাদকে থামিয়ে দিতে চায়, রোধ করতে চায় কণ্ঠ। বিতর্কিত করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার হীন ষড়যন্ত্র করে থাকে।

এই পর্যন্ত বাংলাদেশে যৌন নির্যাতনের শিকার প্রায় আটজন মানুষ নিজেদের দীর্ঘদিনের লালন করা কষ্টগুলো, অভিযোগগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। আমার বিশ্বাস, এখানে অনেকেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে এটির প্রকাশ ঘটাননি কিংবা কাউকে অযথা ব্যক্তিগত আক্রমণ করার লক্ষ্যে, সামাজিকভাবে সম্মানহানি করার চিন্তাভাবনা থেকে এটি করেনি। আরেকটি মানুষকে যাতে এই ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে না হয়, যৌন নির্যাতনকারী নিজেও এই ধরনের অপরাধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে- এটির সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছে। আরেকটি ব্যাপারও হতে পারে, যৌন নির্যাতনকারী মানুষ নামের বর্বর পশুটাকে এখনও ঘৃণা করে, মৃত্যুর পরেও ঘৃণা করে- এটিও জানাতে তাদের সাহস জুগিয়েছে # মি টু মুভমেন্ট।

আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই আটজনের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাচ্ছি। আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আমার স্ত্রী, কন্যাসহ আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ সমাজ-রাষ্ট্র ও কর্মক্ষেত্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনে এই আমরাই সব অত্যাচার-নির্যাতন আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে হাতে হাত রেখে সমবেত হবো। আমাদের হাত ধরেই একদিন আলো আসবে, সচেতন হবে, পরিবর্তন ঘটবে।

সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও অভিযোগ দেওয়ার কমিটি গঠন না করে এক প্রকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে আমার ব্যক্তিগত মতামত। এই জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করতে আমরা সবাই মিলে একমত হয়ে কাজ করতে পারি।

এই লেখার শুরুটা করেছি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে। কারণ, যৌন নির্যাতনের শিকার মানুষগুলোর প্রকাশ করা অভিযোগগুলো বিশ্বাস করার বিপরীতে উল্টো ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। তাঁদের চরিত্রহীন বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে মূলত সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিকটিমদের মনোবল ধ্বংস করার জন্য নিজেদের পক্ষে গ্রুপ তৈরি করে কিছু অগ্রহণযোগ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

একটি কথা একটু একান্তচিত্তে ভাবতে বলবো যে, কোনও স্বাভাবিক নারীই নিজের উলঙ্গ শরীর প্রদর্শন করার ধৃষ্টতা দেখাবে না। কারণ, কে হিজাব পরলো, কে হিজাব পরলো না; মেয়েদের কণ্ঠস্বর উঁচু-নিচুতে যে সমাজ-রাষ্ট্রের কতিপয় মানুষ বেহশত-দোজখ নির্ণয় করে; যে সমাজ-রাষ্ট্র তসলিমা নাসরিনের মতো মানুষকে বিতাড়িত করে, হত্যার চেষ্টা করে, সে সমাজ-রাষ্ট্রে নিজের যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করা মানে স্বামী-সন্তান, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনসহ পুরো রাষ্ট্রের চোখে শত্রু হওয়া সত্যিই কঠিন, অনেক কঠিন। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

আর এই কঠিন কাজগুলো যারা করেছেন- তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সবাইকে সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। বর্বর সংস্কৃতি থেকে আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করার প্রয়োজনবোধ সৃষ্টি করেছে। অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতা, ক্ষত-কষ্টগুলো যা এখনও তাদের জীবনে দুঃস্বপ্ন হয়ে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যায়-এগুলো তুলে ধরেছে মাত্র। একটি ভিকটিমও বলেনি, আমি আমার যৌন নির্যাতনকারীর ফাঁসি চাই। তারা বলেছে, এই সিস্টেম পরিবর্তন চাই। প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কর্মক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত চাই। মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই।

আশার আলো হচ্ছে, আমাদের মাঝে অনেকেই মাঠে দাঁড়িয়েছে। ১৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর ‘যৌন নিপীড়নকে না বলুন, নিপীড়কদের বয়কট করুন’- এই স্লোগানে মানববন্ধন করে যৌন নিপীড়কদের সতর্ক করা হয়েছে। এই মানববন্ধন থেকেও বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়ক শুধু পুরুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক পুরুষও নারী কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার। তাই এখানে যৌন ‘নিপীড়ক’ বলা হয়েছে (আমার মতে)।

আরেকটি ভালো সংবাদ, যা # মি টু আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে দুটো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে উচিত ছিল আদালতের নির্দেশ মতে আগ থেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন রাখা। তাহলে, দীর্ঘদিন পরে কেন বলা হলো এই ধরনের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করার আগেই ভিকটিম লিখিতভাবে ওই প্রতিষ্ঠানের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে অভিযোগ দাখিল করে সুবিচার পাওয়ার আশা করতে পারতো।

এখানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তারা সবাই  শিক্ষিত। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক পদে নিজেদের কর্মদক্ষতায় সম্মানিত। তবে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার ভক্ত-অনুকূলের মানুষগুলো যেভাবে ভিকটিমকে মানসিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করছে, চরিত্রে কালি মাখতে কল্পকাহিনি জুড়ে দিচ্ছে, এটি সত্যিই দুঃখজনক। এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা। অন্যদিকে, ওই অভিযোগযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে-সঙ্গে ভক্ত-অনকূলও ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের ধ্যান-জ্ঞান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অনেকে প্রশ্নও করেছে, তাহলে কি এই মানুষগুলো অসভ্য সমাজ-রাষ্ট্র গঠন করতে চায়? তারা কি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ সুষ্ঠু-সুন্দর সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের বিরোধী?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ব্যক্তির একটি কাজের জন্য অন্যটিকে দায়ী করা উচিত নয়। যৌন নির্যাতন, নিপীড়ন একটি ব্যক্তিগত অপরাধ। এখানে তার পরিবারকে টেনে আনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আবার তার কাজের সফলতাকে যৌন নিপীড়নের অপরাধে বিতর্কিত করা উচিত নয়। বরং যৌন নির্যাতন, যৌন প্রলোভন দেখিয়ে কোনও কাজ সম্পাদিত করে সফলতা অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যেতে পারে।

একটি ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, এই # মি টু মুভমেন্ট যাতে ব্যক্তি বা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচারের অংশ যেন হতে না পারে- এদিকে আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। কারণ, আমি-আপনি, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নই। দোষ-গুণ মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। কিন্তু অপরাধকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বিকৃত মানসিকতার এবং এই অপরাধে নিজেকেও শামিল করার সমান।

ভুল করা, অপরাধ করা ব্যক্তিগুলোকে আলোর পথ দেখানো আমাদের দায়িত্ব। সবাইকে সচেতন করুন। সকল মানুষ ও অনাগত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে আপনিও এগিয়ে আসুন...।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)

এই বিভাগের আরো খবর