শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৩৬

মামাবাড়ি গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু

প্রকাশিত: ১০ মে ২০১৯  

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ বছরে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটিকে গোপালগঞ্জ-২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ঘটনায় ওই শিশুর মা টুঙ্গিপাড়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন। এরপর পর থেকে অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী মধ্যপাড়া গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার ইফতার শেষে ৬ বছরের ওই শিশুকে বাড়ির উঠানে রেখে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান তিনি।

এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে চাচাতো ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির (২৫) মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসসময় মেয়েকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমি পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করি। তখন আমার মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে এবং ঘটনাটি খুলে বলে। পরে রাতেই গোপালগঞ্জ-২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই শিশুর মামা বলেন, আমার মা বাড়িতে একা থাকেন। ১০ দিন আগে আমার বোন তার মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার আমার ভগ্নিকে বাড়িতে একা পেয়ে মিল্টন কৌশলে ডেকে নিয়ে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি আরো বলেন, আমার ভাগ্নিকে হাসপাতালে নেয়ার সময় ধর্ষকের পরিবারের লোকজন আমার বোনকে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাতে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গোপালগঞ্জ-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে টুঙ্গিপাড়ায় ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের আলামত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পুলিশি প্রতিবেদন পেলে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এ কে এম এনামুল কবীর জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

এই বিভাগের আরো খবর