বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩১৬

ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও কনসার্টের ঘোষণা

তরুণ কণ্ঠ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯  

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য অপসরণের দাবিতে আন্দোলনের কারণে অর্নিদিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরেও বুধবার দফায় দফায় বিক্ষোভ, সংহতি সমাবেশ ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টার ভেতর হল থেকে সব শিক্ষার্থীদের বের করে দিলেও ক্যম্পাসে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য উপাচার্যের বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিক্ষোভ ও সন্ধ্যায় ভিসির বাসভবনের সামনে কনসার্টের (প্রতিবাদী) ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই তার অপসারণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু উপাচার্য নিজেও পদত্যাগ করছেন না। তাকে সরানোও হচ্ছে না।

তারা বলেন, এ অবস্থায় জাহাঙ্গীরনগরকে দুর্নীতিমুক্ত করতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার আশঙ্কা করছি আমরা।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। যে প্রশাসন ছাত্রলীগ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে তারা পুলিশ দিয়ে নিজেদের বেষ্টিত করে রেখেছে। যে কোনো সময় তারা হামলাও চালাতে পারে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অধিকাংশ হল খালি হয়ে গেছে। হলগুলোতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে যদি কেউ হলে অবস্থান করে তবে এর জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে না।

তিনি বলেন, কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ হোক আমরা তা চাই না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে না। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে তারা ফিরে আসুক। সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আজ পর্যন্ত টানা ১২ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার উপাচার্যের বাসভবন অবরোধের সময় বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। এ ঘটনার পরে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় উপাচার্য।

এই বিভাগের আরো খবর