শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮৬

বিকল্প উপায়ে ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২১  

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। ওইদিন থেকে দেশের অফিস আদালতসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ধ থাকবে। সোমবার (১২ এপ্রিল) এমন সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হয়েছে। এরপরই নগরীতে মানুষের চলাচল বেশি দেখা গেছে। অনেকেই লকডাউনকালে নানা প্রস্তুতির জন্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে ঘর থেকে বের হয়েছেন।

অপরদিকে, তৃতীয় দফার এ কঠোর লকডাউন ঘোষণা আসার পর ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার স্থানগুলোতে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচল করলেও দূর পাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে অনেকেই ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল যোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিচ্ছেন। ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছেন নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে।


সোমবার নগরীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলি টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেলেও নগরীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলোতে ঘরমুখো মানুষের অবস্থান দেখা গেছে। সুযোগ পেলেই মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেট কার এমনকি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলেও তারা বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা দিচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতেও যানজট দেখা গেছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে সামনে রেখে মানুষের চলাচল বেড়েছে। তাছাড়া লকডাউন শুরুর আগে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর, সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেলেও, যাত্রাবাড়ী-চট্টগ্রাম রোড ও গাবতলী-সভার রোডের আমিনবাজার ব্রিজসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে বাড়িফেরা মানুষ অপেক্ষা করছে।

সায়েদাবাদ সিটি করপোরেশন টার্মিনালের টোল আদায়ের দায়িত্বে রয়েছেন কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, দূর পাল্লার কোনও পরিবহন চলাচল করছে না। যে কারণে আমরাও টোল আদায় করতে পারছি না। তবে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছে। অনেকেই বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছে।

অপরদিকে ঢাকার গাবতলি-সাভার রোডের আমিনবাজার ব্রিজ এলাকায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষকে বাড়ি ফিরতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই অতিরিক্ত টাকায় মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন যোগে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।

সকালে গ্রামের বাড়ি ফেনীতে ফিরতে শনির আখড়া এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন কর্মজীবী মানুষকে। তাদের একজন সামছুল ইসলাম। তিনি বলেন, লকডাউনের সময় অফিস বন্ধ থাকবে। আর সামনে ঈদ। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই সময়টা বাড়িতে কাটাবো। অপেক্ষা করছি যদি কোনও পরিবহন পাই তাহলে যে করেই হোক চলে যাওয়ার চেষ্টা করবো।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, দূরপাল্লার কোনও পরিবহন চলার সুযোগ নেই। কেউ সরকারের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করলে জেল জরিমানায় পড়বে। ৫ টাকা লাভের আশায় ২০ টাকার মামলায় পড়ার ঝুঁকি কেউ নেবে না। আমরা কঠোরভাবে মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি তারা সব পরিবহন বন্ধ রাখবে।

এই বিভাগের আরো খবর