বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫১৯

বছর ব্যবধানে ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২১  

করোনা মহামারীর শুরু থেকে যে কয়েকটি খাতে ঊধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে তার মধ্যে ই-কমার্স একটি। বছরের ব্যবধানে এই খাতে লেনদেন বেড়েছে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। বর্তমানে ই-কমার্সের বাজার ২০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের ডিসেম্বরেও ছিল ১৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। জানা যায়, ২০১৬ সালের পর থেকে দেশে ই-কর্মাস ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হতে শুরু করেছে। ২০১৭ সালে ই-কর্মাস বাজারের আকার ছিল ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের শেষে গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি হয়েছেন সৈয়দ আলমাস কবীর জানান, আমাদের দেশে ই-কমার্স এখন সম্ভাবনাময় খাত। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হবে অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারবে এই খাত।

করোনার শুরুতে আমরা দেখেছি অনলাইনে নিত্য পণ্যের চাহিদা বেশি ছিলো। কিন্তু এখন সেই অবস্থাটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন গ্রাহকরা অনেক পণ্যই অনলাইনে ক্রয় করে থাকে।
তিনি জানান, একটি খাত যদি বড় হয় তখন কিছু অনিয়ম হবেই। আর অনিয়ম সব জায়াগায় আছে। এটা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তবে যারা ভালো ভাবে ব্যবসা করতে চায় তারা কখনো অনিয়ম করে না।

ই-কমার্সে ভালো করতে হলে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। একটি সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। যাতে গ্রাহকরা অনলাইনে পণ্যের অর্ডার করলে পায়। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, অনলাইনে পণ্যে আছে কিন্তু অর্ডার করলে তা গ্রাহকদেরকে একটি নটিফিকেশন দিয়ে বলা হচ্ছে দুঃখিত আপনার পছন্দের পণ্যটি আমাদের সংগ্রহে নেই। এটাতে ওই সাইটটির প্রতি গ্রাহকদের অনীহা তৈরি করে। অন্যটি হচ্ছে সঠিকভাবে ডেলিভারি প্রদান।

আলমাস কবীর জানান, প্রতিনিয়ত এই খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে কর্মসংস্থানও। গ্রাহকরা যাতে আরও বেশি আগ্রহী হয় এ জন্য আমাদের এখন গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে হবে।
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম নেটওয়ার্ক মাস্টার কার্ডের হিসাবে করোনাভাইরাসের আগে বাংলাদেশে ই-কমার্সে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমাণ ১৫ শতাংশের মতো ছিল। এখন এ লেনদেনের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা চালুর মধ্যেই এটা সীমিত থাকবে না। প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন ও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি আসবে। পুরনো পণ্যসেবাগুলোর জায়গায় হালনাগাদ পণ্যসেবা দ্রুত চালু হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোনের সক্ষমতা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ক্লাউড কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, রিয়েল-টাইম স্পিচ রিকগনিশন, ন্যানো কম্পিউটার, ওয়্যারেবল ডিভাইস ও নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন, সাইবার সিকিউরিটি, স্মার্ট সিটিজ, ইন্টারনেট সেবা আরো উন্নত হবে।

এই বিভাগের আরো খবর