শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৩৯

নওগাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় এখন আমনের বীজতলা

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২০  

নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর-মালঞ্চি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১০টি গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্মাঞ্চলগুলো। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। এছাড়া দ্বিতীয় দফায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রতিদিনই নতুন এলাকাগুলোতে প্রবেশ করছে পানি।

প্লাবিত হওয়া নিম্মাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নেমে না যাওয়ার কারণে আসন্ন আমন মৌসুমকে সামনে রেখে কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে নিজের বাড়ির উচু খলিয়ান (আঙ্গিনা) কে বানিয়েছেন আমন ধানের বীজতলা। যেন বন্যা পরবর্তি সময়ে আমন ধানের চারার সংকট দেখা না দেয়। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আউশ মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১৪২৫হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপন করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ২০০হেক্টর আউশ ধান আক্রান্ত হয়েছে। আউশ শেষে আসন্ন আমন মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৮৫০হেক্টর জমি। সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিলো ৯৫০হেক্টর আমনের বীজতলা। কিন্তু হঠাৎ হানা দেওয়া বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৫হেক্টর বীজতলা। আর পানিতে স্থায়ী ভাবে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১২হেক্টর বীজতলা। যার কারণে বন্যা পরবর্তি সময়ে যেন আমন ধানের চারার সংকট না হয় তাই উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় কৃষকরা নতুন করে কিছু উচু জমি ও নিজের বাড়ির উচু খলিয়ানে (আঙ্গিনা) নতুন করে বীজতলা তৈরি করছেন। ইতিমধ্যেই ১১হেক্টর উচু জমিতে নতুন করে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন বন্যার পানিতে আমার ৪বিঘা জমির আউশ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আমন ধানের জন্য তৈরি করা ১বিঘা জমির বীজতলাও তলিয়ে গেছে। তাই এখন আবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুসারে আমার বাড়ির আঙ্গিনায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করেছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বন্যার পানিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের বীজতলা। তবে বন্যার পানি যদি আগস্ট মাসের প্রথম দিকে নেমে যায় তাহলে কৃষকরা ব্রি ধান-৩৪সহ নাবি জাতের আমন ধান রোপন করতে পারবেন। কারণ এই জাতের ধান একটু দেরিতে রোপন করলেও ফলনের কোন সমস্যা হবে না। এখনোও কৃষকরা নতুন করে বীজতলা তৈরি অব্যাহত রেখেছেন। তাই উপজেলায় এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বীজতলা অক্ষত রয়েছে এবং নতুন করে তৈরি করা হয়েছে তা দিয়ে আমন ধান রোপন সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

এই বিভাগের আরো খবর