ধানের বাম্পার ফলনেও দিশেহারা চাষিরা
প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯
হাওরজুড়ে চলছে শেষ পর্যায়ের ধান কাটার মহোৎসব। আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে ধান কাটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে বলে জানান কৃষকেরা। কিন্তু দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না চাষিদের। একদিকে ধানের চিটা রোগে ক্ষতিগ্রস্ত, ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, অন্যদিকে শ্রমিকের উচ্চ মজুরিতে দিশেহারা কৃষক।
ধানের বাজার দর কম থাকায় ভাগেও ধান কাটতে রাজি হয় না শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষেতে রেখেই অগ্রিম ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে এবার বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাওরের কৃষক।
হাওরের কৃষক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এবার বোরো মৌসুমে সম্পূর্ণ অনুকূলে ছিল প্রাকৃতিক পরিবেশ, সময়মতো সার-বীজ-কীটনাশক ও সেচ সুবিধা পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
কিছু কিছু এলাকায় বিআর-২৮ জমিতেই চিটা দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক কৃষক। তাই দামের ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বাম্পার ফলনের প্রকৃত লাভ ঘরে উঠবে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় সরকারিভাবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২১৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ থেকে ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সিংহভাগ সহায়ক হয়ে থাকে হাওরবেষ্টিত উপজেলাগুলোর এলাকা হতে। হাওরে আগাম জাতের বিআর-২৮ ধানের আবাদ বেশি করা হয়েছিল বেশ কিছু এলাকায়। আর বিআর-২৮ জমিতেই বেশি মাত্রায় চিটা দেখা দেয়। যার ফলে কৃষকেরা আগাম ধান ঘরে তুলতে পারেনি।
কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ কয়েকটি হাওর উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা এখন ধানকাটার পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান বাড়িতে আনা, মাড়াই ও বিক্রির কাজে। কৃষাণীরাও ব্যস্ত বছরের একমাত্র ফসলটি ঘরে তুলতে। কারো যেন দম ফেলবার ফুরসত নেই।
হাওরের চারদিক যেন ধান কাটাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
ইটনা উপজেলার ধনপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষক লাল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে মণপ্রতি ধান চাষে খরচ পড়েছে সাত’শ টাকার মতো। কিন্তু বর্তমান বাজার মূল্য মণপ্রতি পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা। তবে এই ধান কয়েকদিন ধরে রাখা গেলে হয়তো দাম কিছুটা বেশি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু হাওরাঞ্চলে সেই ধরনের কৃষকের সংখ্যা একেবারেই কম।
একই এলাকার কৃষক মুকুল বলেন, আমি দুই একর জমিতে বিআর-২৮ ধান রোপণ করেছিলাম। এ তিন একর জমিতে চিটা রোগে ধানে মার খেয়েছি। আর আমরা ধার-দেনা করে চাষাবাদ করেছি। পাওনাদার ধান কাটার আগেই বাড়ি এসে বসে থাকে টাকা নিতে। ফলে ক্ষেত থেকে ধান কাটার পরই তা বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না অধিকাংশ কৃষকের।
পুরো মৌসুমে শ্রম দিয়েও ধানের প্রকৃত দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের কৃষক জমসেদ ব্যাপারী।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “এক মণ ধানের দরের চেয়েও বেশি একজন কৃষি শ্রমিকের মূল্য। তাই ঋণ করে শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়েছে। আর এখন যদি ধানের ন্যায্য দাম না পাই তাহলে অন্য পেশায় চলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।”
নতুন ধান উঠতে শুরু করার পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হাওর এলাকায় ধান কেনা-বেচার প্রধান হাট চামড়া বন্দর। সেখানের আড়তদাররাও ধানের বাজার মূল্য কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
চামড়া বন্দরের আড়তদার এম এ হক বলেন, “চালের বাজার নিম্নমুখী। চালকল মালিকেরা বেশি দামে ধান কিনতে চাচ্ছেন না। ফলে অভাবী কৃষকেরা কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ধানের বর্তমান বাজার মূল্য, কাঁচা ধানের ক্ষেত্রে পাঁচশ টাকা, শুকানো হলে দাম পাঁচশ পঞ্চাশ টাকা।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো সার-বীজ-কীটনাশক ও সেচ সুবিধা পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু দামের ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। নয়তো কৃষকেরা বোরো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
- ভূমি সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন! বিদায় সহ.কমিশনার ফারহানুর রহমান
- কথিত অনলাইনে প্রকাশিত মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ
- জনগনের অধিকার আদায়ের জন্যে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ইউসুফ আলী
- ঈদের আগে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের দাবি সিরাজগঞ্জ শপ গ্রাহক ফোরামের
- চট্টগ্রামে পাঁচ শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে সেহরির বিতরণ
- জ্বলছে আগুন হৃদয়ে
- ১৭ রমজান, বদর দিবস: বদর যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব
- শেয়ারবাজারে টানা দরপতন, আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা
- এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে নামও
- ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
- মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারক আটক-৬
- ঢাকাস্থ চান্দিনা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
- নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু
- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির দাবি: ওমর ফারুক পীরসাহেব
- বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার
- সরকারি ছুটির চেয়ে শ্রমিকদের ছুটি কম দেওয়া যাবে না
- গাজায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি
- ডি মারিয়া ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি
- জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে
- আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
- যখন কোনো ইস্যু নেই, তখনই ভারত বিরোধিতা: কাদের
- উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী
- মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎপৃষ্ট একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু
- আখাউড়ায় নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস
- ৩২৮ রানে হারলো বাংলাদেশ, মুমিনুলের ১৩ রানের আক্ষেপ
- ভুটানের রাজা ঢাকায়
- অপহৃত ১৩৭ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করল নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী
- পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ ৩ ঘণ্টায়
- সৌদি আরবে ঈদের ছুটি ৬ দিন
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- টক এবং মিষ্টি স্বাদের চাম কাঁঠাল এখন বিলুপ্তপ্রায়
- ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
- দঃ সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা
- পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে কুমিল্লার ঘোগরাবিল
- লাকসামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
- শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান
- গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
- লালমাইতে ট্রাক-বাসের মুখমোখী সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ১৫ : ছবিসহ
- জমি নিয়ে বিরোধ, গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা
- মরুভূমির গাছের ফল ধরল বাংলাদেশের মাটিতে! দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
- লবণ গুজবে সারা দেশে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ
- মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান’কে কোণঠাশা করার চেষ্টা
- স্যাভলন কারসাজির অভিযোগউঠেছে কালোবাজারি খ্যাত বাবুলপালের বিরুদ্ধে
- দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- মাদারীপুরে ছাত্রলীগ নেতা খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী