শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫৪

ঢাকায় সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি : অধিদপ্তর

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  

 

দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে প্রতিদিনই হাজার হাজার পিস ইয়াবাসহ নানা মাদক উদ্ধার হচ্ছে। সম্প্রতি পাওয়া যাচ্ছে নতুন মাদক আইসও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের তথ্যমতে, শুধু ঢাকাতেই সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি রয়েছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা বিভাগের প্রধান ও সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান, ভাটারা, কুড়িল ও রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৬০ গ্রাম আইস ও ১২০০ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) দাবি, এটি এখন পর্যন্ত ঢাকায় জব্দ হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান। এ সময় দুটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা।

ফজলুর রহমান বলেন, আইস ২০০৭ সালে প্রথম ধরা পড়েছিল। দীর্ঘদিন অস্তিত্ব না থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে আবার নতুন করে আইসের প্রভাব বাড়ছে। গত আগস্টে আমরা একজনকে গ্রেফতার করি। তার তথ্যের ভিত্তিতে গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর আমরা অভিযান পরিচালনা করি। সেই অভিযানে আমরা ১০ জনের সিন্ডিকেটকে আটক করতে সক্ষম হই। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আবারও নিজেদের প্রযুক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করি।

তিনি বলেন, মাদকটির প্রতি গ্রামের দামই প্রায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাদকসেবন ব্যয়বহুল হওয়ায় সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই মাদকের সঙ্গে জড়িত হয়। এই গ্রেফতার পাঁচজনও সচ্ছল পরিবারের। যেমন- জাকারিয়া অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে এসেছে। তারেক আহম্মেদ যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে। এছাড়া জসিম উদ্দিন বাড়ি ও গাড়ির মালিক। সবাই অর্থ ও বিত্তশালী।

এরা কেন জড়িয়ে পড়ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত এরা প্রলোভনে এই অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আইসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় মাদকদ্রব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অধিক টাকা আয়ের লোভে প্রলোভন দেখিয়ে এসব কাজে তাদের নিয়ে আসে।

এই বিভাগের আরো খবর