শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১৯

রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডেঙ্গু সনাক্ত পরীক্ষা বন্ধ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৯  

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু সনাক্ত পরীক্ষা না হওয়ায় জনসাধারণ চরম দূর্ভোগে পরেছে। তাই স্থানীয় সোহাগ ক্লিনিকে সরকার নির্ধারিত ৫শ টাকা দিয়ে এ পরীক্ষা করাতে বেগ পেতে হচ্ছে গরীব অসহায় রোগীদের। যদিও সোহাগ ক্লিনিকের মালিক গরীব রোগীদের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ছাড় দিয়ে সহযোগীতা করছে। কিন্তু সবচেয়ে আর্শ্চর্য্যরে বিষয় হলো ঝালকাঠি সিভিল সার্জন জানিয়েছেন রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেংঙ্গু পরীক্ষা হচ্ছে। তার এই তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল পাওয়া যায়নি সেখানে গিয়ে। 
গতকাল সোমবার রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে জানতে চাওয়া হয় কত জন রোগী ডেংগু চিকিৎসা নিচ্ছে। এর জবাবে কর্তব্যরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান, এখানে ল্যাব বন্দ থাকায় ডেংঙ্গুসহ কোন পরীক্ষাই হচ্ছেনা দীর্ঘদিন থেকে। আজ ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। আরো ১ টি ডেঙ্গু রোগাক্রান্ত শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসা চিকিৎসারত রোগী ছাইদুল (২৩) এর মা গালুয়া ইউনিয়নের রেনু বেগমের সাথে।

তিনির জানান, আমার ছেলে ঢাকায় কোম্পানীতে চাকুরী করত। সেখান থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি আসে। তাই তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা করাতে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা না হওয়ায় সোহাগ ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখান থেকে পরীক্ষায় ডেঙ্গু নিশ্চিত হলে হাসপাতালে ভর্তি করে ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছি। রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকের মালিক মো. সোহাগ জানান, গত ৬ দিনে ডিভাইজে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা ২২ জন ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। সরকার নির্ধারিত টাকায় আমরা এ পরীক্ষা করাচ্ছি।

কোন কোন ক্ষেত্রে রোগী প্রকৃত গরীব হলে তার কাছ থেকে আরো কম টাকা রাখা হচ্ছে। রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু সনাক্তের প্রাথমিক পরীক্ষ হয়না কেন জানতে চাইলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. উদয় কুমার মিত্র জানান, দীর্ঘদিন এখানে ল্যাব টেকনিশিয়ান পদ শূণ্য থাকায় ডেঙ্গুসহ কোন পরীক্ষাই করানো যাচ্ছেনা। তাই বাহিরের বেশির ভাগ রোগী স্থানীয় সোহাগ ক্লিনিকে ডিভাইজের মাধ্যমে প্রাথমিক পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু ভাইরাস সনাক্ত হলে আমরা ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। তিনি আরো জানান, এখানে ১৯ পদের বিপরীতে মাত্র ২ জন চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে দিন রাত আমাদের পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তাই এখানে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগসহ টেকনিশিয়ান পতে লোকবল নিয়োগ দেয়া জরুরী।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলদার বলেন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালসহ ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস সনাক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। রাজাপুরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও বাহিরের দ ুটি ক্লিনিকে এ পরীক্ষা করা হচ্ছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর