শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭৭

ডাক্তার বড় না পুলিশ বড়, আমি দেখব

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১  

করোনার বিস্তার রোধে চলমান 'সর্বাত্মক লকডাউনে' রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন এক নারী চিকিৎসক। বাকবিতণ্ডার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই নারী নিজেকে শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে ডা. শওকত জেরিন বলে দাবি করেন। ডাক্তার বড় না পুলিশ বড় তা দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন ওই নারী চিকিৎসক। 

পুলিশ চেকপোস্টে ওই নারীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে উঠেন তিনি। পুলিশের কাছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন তিনি। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক বলে দাবি করেন তিনি। তবে পুলিশ বারবার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও তিনি তা দেখান নি। 

এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন। হুমকি দেন চাকরি হারানোর। পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে বার বার নমনীয়ভাবে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু ওই নারী ছিলেন উত্তেজিত। 

৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশকে উদ্দেশ করে ওই নারী বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’

এরপরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেনো?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশও বলে, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এরপরে নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক। তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বারবার বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ কর্মকর্তা জবাবে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন?’

‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’- এই কথা বলে এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে তার ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য। তারপরও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর