বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯৩

ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশ ও মানুষের জন্য দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত কয়েকমাসে শুধু কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকার সব নির্দেশনা জারি করেছে সেগুলো পর্যালোচনা করলেএবং পরিমাণ বিবেচনা করলেই কিছুটা অনুমান করা যায় জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে দিন-রাত কতটা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
শুধু কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয় যেসব নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ ১ হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠা। ভবিষ্যতে করোনা মহামারির মত দুর্যোগ মোকাবিলার কথা চিন্তা এসব নির্দেশনা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এসব নির্দেশনা বই আকারে ৫টি ভলিউমে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া তত্ত্বাবধায়নে করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে জারি করা এসব প্রজ্ঞাপন সংকলন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যেসব নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ দেখলে কিছুটা অনুমান করা যায় এই করোনার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কতটা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং সে অনুযায়ী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা নির্দেশনাগুলো সংরক্ষণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এসব নির্দেশনা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, এই করোনা মহামারীর মধ্যেও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তিনি প্রতিটি বিষয়, প্রতিটি মহুত্ব মনিটর করছেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের জীবনের চেয়ে দেশ ও দেশের জনগণকে বড় মনে করেন। তাই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা মহামারী থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, জনগণকে সচেতন করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি চাঙা রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় সরকার।

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারী থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং জীবিকা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত  মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার (জিডিপি’র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ) ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

এক নজরে সরকার ঘোষিত ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ-

১. রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল (মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
২. ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধ প্রদান  মোট বরাদ্দ ৩৩,০০০ কোটি টাকা)
৩. ক্ষুদ্র (কুটির শিল্প সহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান  (মোট বরাদ্দ ২০,০০০ কোটি টাকা)
৪. বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবির্তিত ইডিএফ এর সুবিধা বাড়ানো (মোট বরাদ্দ ১২,৭৫০ কোটি টাকা)
৫. Pre-shipment Credit Refinance Scheme (মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
৬. চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানি (১০০ কোটি টাকা)
৭. করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অথবা মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ (৭৫০ কোটি টাকা)
৮. বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  (মোট বরাদ্দ ২,৫০৩ কোটি টাকা)
৯. ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয়  (মোট বরাদ্দ ২৫১ কোটি টাকা)
১০. লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ (মোট বরাদ্দ ১২,৫৮ কোটি টাকা)
১১. ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি  (মোট বরাদ্দ ৮১৫ কোটি টাকা)
১২. গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ  (মোট বরাদ্দ ২১৩০ কোটি টাকা)
১৩. বোরো ধান/চাল ক্রয় কার্যক্রম (মোট বরাদ্দ ৮৬০ কোটি টাকা)
১৪. কৃষি কাজ যান্ত্রিকীকরণ (৩,২২২০ কোটি টাকা)
১৫. কৃষি ভর্তুকি(৯৫০০ কোটি টাকা)
১৬. কৃষি পুন:অর্থায়ন স্কীম ( মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
১৭. নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুন:অর্থায়ন স্কীম (মোট বরাদ্দ ৩,০০০ কোটি টাকা)
১৮. কর্মসৃজন কার্যক্রম (পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ২,০০০ কোটি টাকা)
১৯. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমুহের এপ্রিল-মে/২০২০ মাসে স্থগিতকৃত ঋণের আংশিক সুদ মওকুফ বাবদ সরকারের ভর্তুকি (২,০০০ কোটি টাকা)
২০. Credit Risk Sharing Scheme (CRS) for SME Sector (২,০০০ কোটি টাকা)
২১. রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের দু:স্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন (১,১৩২ কোটি টাকা)

এই বিভাগের আরো খবর