মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৩৮

ঝালকাঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নির্মানাধীন ঘরের কাজ শেষ পর্যায়ে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১  

কেহ থাকে অন্যের বাড়িতে, কেহ খাস জমিতে, আবার কেহ অন্যের জমিতে ছাপড়া ঘরে, কেউ থাকে আত্মীদের আশ্রয়ে। এরকম গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে বানানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঘর। নতুন বছরের শুরুতেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে এসব ঘর পেতে যাচ্ছে ‘ঘর নেই জমি নেই’ এমন ৩৪ পরিবার। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন। তাই সঠিক ভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘর নির্মান করতে সদর উপজেলা প্রশাসন দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবকেুন নাহার সম্প্রতি ঝালকাঠি যোগদান করেই এ জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হওয়ায় নিজেই নবগ্রাম ছুটে গিয়ে এসব ঘরের কাজ পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও খোজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়াও সহকারি কমিশনার ভূমি জহিরুল ইসলাম সার্বক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা ও পরামর্শে কাজ দেখভাল করছেন। মুজিবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বাসস্থান নিশ্চিত করইে বিশেষ এই উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী এ ঘর উপহার দিলেও ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। গত ১৪ জানুয়ারি নিজের গাড়ি রেখে হেরিংবনের রাস্তা পাড় হয়ে সকাল ১১ টার দিকে নবগ্রামে ঘর দেখতে ছুটে আসেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার। সাথে ছিলেন সহকারি কমিশনার ভূমি জহিরুল ইসলাম। আগেই সেখানে কার্যক্রম দেখা শুনা করছিলেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক। প্রকল্প স্থানে পৌছেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুটিনাটি সকল বিষয়ে খেঁজ খবর নেন। তিনি প্রতিটি ঘরের মাঝের সীমানা, সড়ক পথ, ঘর গুলোর উচ্চতা, পাশে নীচু জায়গায় বালু ভড়াট হয়েছে কিনা সার্বিক বিষয়ে সরেজমিনে দেখেন। এসময় তিনি এ কাজের ঠিকাদারকে প্রতিদিন নির্মানাধীন ঘরে পানি দিতে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দেন। তখন কথা হয় এই প্রকল্পের উপকারভোগী পরিবার জিনারা বেগম ও স্বামি মিজানুর রহমানের সাথে। তারা জানান, নিজেদের কোন জমি ঘর না থাকায় খাস জমিতে কোন ভাবে বাসবাস করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এখানে জমি ও ঘর পাবো এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা আমাদের মায়ের দায়িত্ব পালন করছে। অপর উপকারভোগী মনির সিকদার ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম। চাচার আশ্রয়ে কোন মতে ৩ ছেলে নিয়ে থাকি। সবজী বিক্রি করে তাদের পড়ালেখার খরচসহ সংসার চালাচ্ছি। এ অবস্থায় শেখ হাসিনার জমি ও ঘর পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। তাই শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় মোট ৫১ টি উপকারভোগীদের জমি ও ঘর হস্তারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে নবগ্রাম ইউনিয়নে ৩৪ টি উপকারভোগীর জমিতে ঘর নির্মান করা হচ্ছে। ২০২০ সনের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ কাজ শুরু করা হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতক জমির এ ঘরে ২টি বেড রুম, একটি বাড়ান্দাসহ পৃথক রান্না ঘর ও বাথরুম থাকবে। ঘরের মেঝে হবে পাঁকা। উপড়ে থাকছে পয়েন্ট ৩৬ মিলিমিটারের শক্ত ও মজবুত টিন। প্রতিটি ঘর নির্মানে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে কীর্ত্তিপাশা ও কেওড়া ইউনিয়নে প্রাপ্ত খাস জমিতে বাকি ঘর নির্মান করা হবে বলে জানাযায়।

এই বিভাগের আরো খবর