শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৬

জামালপুরে মুক্তিযোদ্ধা বিধবা স্ত্রীর মানবেতর জীবন যাপন

শারমিন আক্তার

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ৯ নং ঘোষের পাড়া ইউনিয়নের বসবাস কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মারা যান গত ২৬ জুলাই ২০১৪ ইং তারিখে। মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী (জান্নাত ফেরদৌস) এর কাছে কেবল দুইটা মেয়ে সন্তান, একটা ছেলে সন্তান আর শুধু মাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধার একটা সনদ পত্র রেখে মুক্তিযোদ্ধা মারা যান।

মৃত্যুর আগে জনাব ফজলুল হকের এতই দূরাবস্থা ছিলো যে দারিদ্র্যতার কাছে হার মেনে বাড়ি ভিটা ছাড়া হন তার মায়ের চিকিৎসার জন্য।

তার পর থেকে তিনি অন্যের বাড়িতে  তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। অন্যের বাড়িতে থাকা অবস্থায় সাত বছরের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যান কোনো সরকারি সুবিধা না পেয়েই।

এমতাবস্থায় তার বিধবা স্ত্রী উপজেলার এক কমান্ডারের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে ভাতা প্রাপ্তী হন এবং সরকারি ভাতার বদৌলতে বড় মেয়েকে কোনো রকম বিয়ে দেন। এখনোও বিধবা জান্নাত ফেরদৌস তার এক মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে অন্যের ভিটায় কোনো রকম এই ভাঙ্গা ঘরেই দিন যাপন করছে। বিধবা জান্নাত জানায় অসহায় অবস্থায় দীর্ঘ দিন অন্যের ভিটায় অনেক লান্ঞ্চনা-গন্জনা শুনে অতি কষ্টে বছরের পর বছর পার করে আসছে।

বড় মেয়ে বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ির সহযোগিতায় কোনো রকম এইচএসসি পাস করেছে এবং ছোট মেয়েকেও এইচএসসি পাস করিয়েছে। বিধবা আরোও আকুলতার সাথে জানায় আজোও হয়নি আমার মেয়েদের একটা চাকরির ব্যবস্থা বা এক টুকরো জমির মধ্যে তার বাসস্থান। শুধু মুক্তিযোদ্ধার সরকারি নূন্যতম সম্মানী ভাতা ছাড়া এই বিধবার আর কোনোই আয় রোজগার বা কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান নি বলে জানান।

মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী অত্যন্ত আহ্মেপের সাথে বলেন যে, আমি একটা সরকারি ঘর বা একটা গরু অথবা কোনো নূন্যতম সুবিধার আওতাভুক্ত হতে পারিনি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আমার সন্তানদের কোনো একটা নূন্যতম সরকারি চাকরি চাই এবং এক টুকরো জমি সহ মাথা গুজার একটা ঠাঁই চাই।

বিধবা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর আরোও অনেক অসহায়ত্বের কথা তার পার্শ্ববর্তী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়। সর্বোপরি বিধবা তার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর