শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০২

জবিতে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন

আহমেদ সানি

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা হলেই বসে একাধিক গ্রুপের মাদকের আসর। যদিও মাদকের বিরুদ্ধে নজরদারি রাখছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এসব মাদক সেবনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নিয়মিত চালাচ্ছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তাদের মাদকের আড্ডা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশসহ নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের সার্বিক সৌন্দর্য। 

তরুণ কন্ঠের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুপুর ঘনিয়ে আসলেই ক্লাসের বিরতিতে মাদক সেবনকারীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করা দ্বিতল বাসগুলোতে মাদক নিয়ে বসেন। এছাড়াও নিয়মিতভাবে ক্যাম্পাসের ছাত্রী কমনরুমের সামনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে দলে দলে মাদকের আসর নিয়ে সেখানে জড়ো হয় সেবনকারীরা। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চ, রফিক ভবনের পিছনের অংশে, বিবিএ ভবনের পিছনে, বিজ্ঞান অনুষদে প্রতিদিন যাতায়াত করা বাসগুলোর আড়ালে, ভিসি ভবনের পিছনে, বিবিএ ভবনের ১২ তলার সিঁড়িতে, বিবিএ ভবনের নিচের গ্যারেজে এবং ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের করিডরে মাদক নিয়ে বসেন সেবনকারীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা বাড়ায় অস্বস্থিতে পড়েছে সাধারণ  শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের কাশ্মীর খ্যাত ছাত্রীদের কমন রুমের পাশে মাদকের আসর বসায় চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমনরুমে আসা একাধিক মেয়ে শিক্ষার্থীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দিনের বেলায় দ্বি - তলা বাসগুলোতে অধিকাংশ সময় এসব মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা দেখা যায়। তারা অনেক সময় বাসে বসে মাদক গ্রহন করে। ফলে বাসের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনকরার একাধিক উপকরণ পড়ে থাকে। এতে বাসের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উল্কা-৩ বাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুইটা ত্রিশে আমার ক্লাশ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বিশ্রামের জন্য বাসের দুই তলায় যাচ্ছিলাম কিন্তু বাসে উঠতেই মাদকের বিশ্রী গন্ধ আসতে থাকে। এরপর বাসের সামনের সিটে বসতে গেলে অ্যালকোহলের বোতল হাতে কয়েকজনকে দেখতে পাই। এসবকিছু দেখে তারাতাড়ি বাস থেকে ভয়ে নেমে পড়ি। 

উল্কা - ৩ বাসের আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এক জুনিয়রকে গাঁজা সেবন করতে দেখে নিষেধ করলে সেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে ওই সিনিয়রের সাথে। সেই সঙ্গে অকাট্য ভাষায় গালাগাল করে ওই শিক্ষার্থীকে। 

এ বিষয়ে প্রক্টর মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছি ক্যাম্পাসের মাদক চিহ্নিত স্থানগুলোতে। সে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারি রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি। এখন ক্যাম্পাসে অনেকাংশে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা কমে গেছে। তারপরও আমরা মনিটরিং করছি।

প্রক্টর আরও বলেন, দ্বি-তলা বিশিষ্ট বাসগুলো যেন ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার আধাঘন্টা আগে বাসের দরজা খোলার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছি পরিবহন পুলকে।

এই বিভাগের আরো খবর