শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৬৪

গাছে গাছে সুসজ্জিত এ কেমন মসজিদ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮  

শিশুদেরকে মসজিদের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে মসজিদের ইমাম পুরো মসজিদকে বনায়ন হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল-ফল সমৃদ্ধ অসংখ্য গাছপালায় সুসজ্জিত এ মসজিদ।

মসজিদের ইমাম এমন অভিনবভাবে মসজিদের ভেতরে ও বাহিরে নানান প্রজাতির গাছ দ্বারা তা সুসজ্জিত করেছেন, যা দেখলেই মনে হয় যেন তা একটি পরিকল্পনাধীন বনায়ন প্রকল্প।

তুরস্কের নেভসেহির (Nevsehir) প্রদেশের এসেনটেপ স্টোন মসজিদটি (The Taşlıbel Çiçekli Mosque in Esentepe) ৩০০ প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছে সুসজ্জিত। যার প্রতিটি গাছই ফুলের টবে সাজানো।

মসজিদে এ বনায়ন প্রকল্পটি ইমাম আহমদ আইদেমির অক্লান্ত পরিশ্রমে বাস্তবায়িত হয়। যা তিনি ১৯৯২ সালে শুরু করেন। এটি যে মসজিদ, তা বাহির কিংবা ভেতরে প্রবেশ করে প্রথম দেখায় তা বুঝতেই পারবে না। ১৯৯২ সালের এ মসজিদটির ৩০০ ফুট জায়গা নিয়ে ইমাম আহমদ আইদেমির তা শুরু করেন।

ইমাম আহমদ আইদেমির মসজিদ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এভাবে যে, আমি ১৯৯৫ সালে মসজিদের ভেতরে গাছ দিয়ে তা সাজানো শুরু করি। এ কাজটি মসজিদের মুসল্লিদের সবাই পছন্দ করে এবং সাধুবাদ জানায়।

মসজিদে শিশুদের উপস্থিতি ও ইবাদতের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে মসজিদে একেকটি গাছ ও টব মসজিদ এলাকার একেকটি শিশুর নামে নির্ধারণ করি। গাছের টবে তাদের নাম লিখে দেই। যা দেখে তারা মসজিদে আসতে আগ্রহী হয় এবং যার যার গাছে নিজ নিজ দায়িত্বে পানি ও পরিচ্ছন্নতা শুরু করে।

আমি তাদের কাজের তদারকি করি। সে সব শিশুরা মসজিদের গাছগুলো পরিচর্যা করে এবং এগুলোর ফুল-ফল ও মসজিদকে ভালোবাসতে শুরু করে।

যারাই প্রথম এ মসজিদ পরিদর্শন কিংবা নামাজ পড়তে আসে, তারাই মসজিদটির এ অভিনব কাজ অনেক সুন্দর বনায়নসমৃদ্ধ পরিবেশে নামাজ পড়ার ব্যবস্থার প্রশংসা করে।

ইমাম আহমদ আইদেমির প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষ করেই প্রথমে মসজিদের এ ফুল ও ফল গাছগুলোর যত্ন নেন।

সচরাচর এমন সুন্দর মসজিদ তেমনটি কোথাও দেখা যায় না। ইমাম আহমদ আইদেমির পরিকল্পিত সুন্দর মসজিদটি মানুষকে বেহেশতি আবহের জানান দেয়।

নিঃসন্দেহে দেশের সব মসজিদ এমন সুন্দর হলে এবং তার পরিচর্যায় শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ত করতে পারলে সুন্দর সমাজ তৈরি হবে।