শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৪৩৪

গাঁজা থেকে তৈরি দুটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

মৃগী ও খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় ইংল্যান্ডের চিকিৎসকরা গাঁজা থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করে আসছেন অনেকদিন ধরেই। তবে এত দিন এই ওষুধ দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা দপ্তর এনএইচএসের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহৃত হতো। এবার এমন দুটি ওষুধের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে এনএইচএস কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ওষুধ দুটির ব্যবহারের বিধিমালা প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের ওষুধ-সংক্রান্ত পরামর্শক সংস্থা এনআইসিই।

ওষুধ দুটি অনুমোদন করায় এনএইচএস কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানিয়েছে দাতব্য সংস্থাগুলো। দুটি ওষুধই যুক্তরাজ্যের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

একটি ওষুধের নাম এপিডায়োলেক্স। এটি শিশুদের মৃগীরোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। গিলে খাওয়ার তরল এই ওষুধটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা গেছে, মৃগীরোগাক্রান্ত শিশুদের দৈনিক খিঁচুনির পরিমাণ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছে। এপিডায়োলেক্স ওষুধটিকে গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপের দেশগুলো অনুমোদন দেয়।

তবে ওষুধটির মূল্য নেহায়েৎ কম নয়। একজন রোগীর জন্য ওষুধটি কিনতে বছরে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার পাউন্ড খরচ পড়বে। তবে ওষুধটির উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জিডব্লিউ ফার্মাসিটিক্যালস জানিয়েছে, এনএইচএস ওষুধটির অনুমোদন দেওয়ায় মূল্যছাড় দেওয়া হবে।

এপিডায়োলেক্সে গাঁজার ব্যবহারে নেশা উদ্রেককারী মূল উপাদান টিএইচসি নেই। 

এনএইচএসের অনুমোদনপ্রাপ্ত অন্য ওষুধটির নাম স্যাটিভেক্স। এটি একটি মুখে গ্রহণযোগ্য স্প্রে। এই ওষুধে টিএইচসি রয়েছে।

খিঁচুনির কারণে মাংসপেশীর কাঠিন্য বা শক্ত হয়ে যাওয়া নিরাময়ে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এনএইচএস। তবে ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধটি ব্যবহার না করতে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন রোগীর জন্য এই ওষুধটি কিনতে বছরে দুই হাজার পাউন্ড খরচ পড়বে।

এই বিভাগের আরো খবর