শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭২

কেন খাবেন কাঁচামরিচ?

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯  

গরম ভাত, আলু ভর্তা সঙ্গে যদি একটা কাঁচামরিচ থাকে, তার সামনে আর কিছুই লাগে না। অনেক মসলাদার খাবারও তখন মনে টানে না। আবার যে কোনো রান্নাতেই একটু কাঁচামরিচ দিলে স্বাদেও তা বেশ অন্যরকম হয়ে যায়। অনেকে ঝাল ছাড়া খাবার মুখে তুলতে পারেন না। মরিচের ঝাল এক এক জনের কাছে এক এক রকম স্বাদ নিয়ে আসে।

কিন্তু এই মরিচের ঝাল কি শরীরে কোনো উপকারে আসে, নাকি করে ক্ষতি? চিকিৎসকদের মতে, মরিচ শুধু স্বাদই বাড়ায় না বরং এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। তবে পরিমানের দিকটা দেখতে হবে।

অতিরিক্ত ঝালে ক্ষতি হবে খাদ্যনালীর। তবে পরিমিত পরিমানে মরিচ খাওয়ার অনেক ভাল দিকও রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত একটু মেপে মরিচ খাওয়া। চিকিৎসকরা আরো বলেন, অনেক অসুখের ওষুধ এই কাঁচা মরিচ। কেন খাবেন কাঁচামরিচ আর কীভাবে খেলে উপকার পাবেন জেনে নিন।

অনেকেই জানেন না, কাঁচামরিচ খাবার হজমে ভাল কাজ করে। খুব তেল-মসলার রান্নায় ঝালের পরিমান কমিয়ে দিন। কারণ অনেক মরিচ স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করে। অপরদিকে হালকা ঝাল হজমে সাহায্য করে। তাই ঝাল নিয়ন্ত্রণ করেই হজমক্ষমতাকে সক্রিয় রাখুন।

কাঁচামরিচে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন থাকায় হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। ভিটামিন সি-এর পরিমানও মরিচে বেশি থাকে। তাই ত্বকের উপকারেও আসে কাঁচামরিচ এবং মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না।

কাঁচামরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। ফলে কাঁচামরিচ শরীরকে জ্বর,সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে বাঁচায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে কাঁচামরিচ খেলে।

প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাঁচামরিচ কার্যকরী। এছাড়াও স্নায়ুরোগ কমাতে কাজে লাগে এটি। কাঁচামরিচ খেলে মস্তিষ্কে সুখী হরমোন এনডরফিন নিঃসৃত হয়। তাই খাবারে স্বাদ যোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনটাও আনন্দিত হয়। ভাল খাবারের স্বাদ নেয়ার পর মন-মেজাজ ভাল হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ।

এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ ও সংক্রমণ থেকেও শরীরকে দূরে রাখে। কাঁচামরিচ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মরিচের বীজ এই কাজে খুবই কার্যকর। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভোগা রোগীদের মরিচ খাওয়া ভাল।

তবে খুব বেশি মরিচ না খাওয়াই ভাল বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শুকনো মরিচের ঝালে কোনো উপকার নেই। এতে বরং খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না।

খুব ঝাল খেতে খেতে জিহ্বার স্বাদকোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঝাল-মিষ্টি-টক কোনো কিছুই আলাদা করে বুঝতে পারা যায় না।

এই বিভাগের আরো খবর