শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬১

কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত হবেন যে কারণে

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৯  

 

প্রকৃত মুসলিম হওয়ার জন্য বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দু’টি শর্ত আরোপ করেছেন তার মধ্যে একটি হলো- ‘যার যবান বা জিহ্বা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।’ অর্থাৎ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যবানের হেফাজত করার কথা বলেছেন।

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে বর্ণনা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জবানের হেফাজত করবে, তাকে আজাব বা শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়া হবে।’

 

ক্ষমতাশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নিরীহ মানুষ পর্যন্ত যারাই নিজেদের জবানকে হেফাজত করতে সক্ষম হয়েছেন, তারাই দুনিয়াতে শান্তি ও সম্মান লাভ করেছেন। আর পরকালের শান্তি ও নিরাপত্তাতো রয়েছে।

 

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকের অনেক স্থানেই সুন্দর ও সংযতভাবে পরস্পর ভাব বিনিময়ের কথা বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
> ‘আর তোমরা মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে কথা বলো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৮৩)
> ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৭০)

 

আবার অনর্থক কাজের কথা ছাড়া শুধু শুধু কথা বলার চেয়ে চুপ থাকা অনেক নিরাপদ। যা উঠে এসেছে বিশ্ববিখ্যাত ৪ সম্রাটের উক্তি থেকে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ যুগে অতুলনীয় ছিলেন। তাদের উক্তি হলো-

 

> পারস্যের সম্রাট কেসরা বলেন-
‘আমি কথা না বলার কারণে কখনও লজ্জিত (অপমানিত) হইনি। বরং অধিকাংশ সময় কথা বলার কারণেই লজ্জিত হয়েছি।’
> চীন সম্রাট বলেন-
‘যতক্ষণ আমি কথা বলিনি ততক্ষণ আমি ইহার মালিক। আর যখনই বলে ফেলছি, তখনই ইহার মালিক তুমি।’
> রোম সম্রাট কায়সার-
‘যে কথা আমি বলেছি তা অপেক্ষা যে কথা আমি বলিনি তা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে আমি অধিক সক্ষম।’
> ভারত সম্রাট-
‘যে ব্যক্তি চিন্তা-ভাবনা না করে তাড়াতাড়ি কথা বলে তার জন্য আশ্চর্য হতে হয়। কেননা যদি সে কথা প্রচারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ক্ষতি হবে। আর যদি ছড়িয়ে না পড়ে তবে ইহাতে ফায়দা কি?’

 


সুতরাং অযথা বেশি কথা না বলে চুপ থাকাই শ্রেয়। যে যতবেশি কম কথা বলবে সে ততবেশি নিরাপদ।

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দর ও উত্তম কথা বলার তাওফিক দান করুন। অযথা কথা বলা থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।