শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৭২

ওবায়দুল কাদেরের ভাইকে স্যালুট জানালেন মান্না

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাজনীতির মধ্যে যদি নীতি আছে মনে করেন, রাজনীতিকে যদি মহৎ পেশা মনে করেন, মানবতা প্রতিষ্ঠার বাহন মনে করেন, মানবিক আচরণ মনে করেন, মানবিক কার্যকলাপ মনে করেন তাহলে একটা বিষয়। আর যদি রাজনীতিকে আপনি কেবল মনে করেন ক্ষমতায় যাওয়ার বাহন, ক্ষমতায় টিকে থাকার বাহন এবং ক্ষমতার আখের গোছানোর বাহন তাহলে আরেকটা বিষয়।

তিনি বলেন, আমাদের এই উপমহাদেশের মুঘল সাম্রাজ্যের সময় কী রকম হয়েছে একজন ভাই আরেকজন ভাইয়ের বুকে ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন। ওটাই জাস্টিফাই মনে হয়েছে। এরকম নিজের গুরু যিনি অস্ত্র চালানো শিখিয়েছেন, রাজনীতি শিখিয়েছেন তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছেন এরকম বহু কাণ্ড ঘটেছে। একজন সম্রাট হওয়ার জন্য বাবাকে আজীবন বন্দী করে রাখছে। সেগুলো কি মানবিক ছিল?

 
সাম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে টকশোতে ছিলাম তিনি বললেন, কাদের মির্জা কি বক্তব্য করেছে আমি আসলে ঠিক জানি না। এতো বড় একটা ঘটনা সারা দুনিয়া জানে ওনারা জানেন না। আচ্ছা তিনি না জানতে পারেন অনেকেই এটা জানেন না।

তিনি বলেন, আমি এটা প্রথম আলো পত্রিকাতে পড়েছি ওনাকে (কাদের মির্জা) জিজ্ঞেস করা হলো আপনি এরকম কথা বলতে শুরু করলেন কেন? কি ব্যাপার? তখন উনি বলেছেন তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে আমেরিকায় ছিলেন। আমেরিকায় থাকতে তিনি আল্লাহর কাছে বলেছেন, আল্লাহ তুমি যদি আমার জীবন ফিরিয়ে দাও এরপর থেকে আমি তোমার পথে থাকবো এবং সত্য কথা বলবো।

মান্না বলেন, আমি তাকে স্যালুট করি। উনি একেবারেই আত্ম দহনে, আত্ম জিজ্ঞাসায়, আত্ম দংশনে একথা গুলো বলছেন। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বলছেন হয়তো কারও সাথে তার দ্বন্দ্ব আছে; কিন্তু কার সাথে ওনার দ্বন্দ্ব আছে? উনি তো নমিনেশন পেয়েছেন, নির্বাচন করছেন। তারপরও উনি বলছেন। কাদের কথা বলছেন, বলছেন লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী তিনটা জেলাতে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ অবস্থা কী? কিভাবে কমিটি করেছে?

তিনি আরও বলেন, ‘কিভাবে কমিটি হয়েছে; কিছু লোক ক্ষমতার দাপটে অর্থের দাপটে এন্টি হয়েছে আওয়ামী লীগের। এখানে ত্যাগী নেতারা স্থান পাননি। এর কোন কথা গুলো মিথ্যা; এখন আপনি যদি বলেন এতে কী যায় আসে। বলতেই পারেন জনগণ কি ভাবলো এতে কি যায়-আসে। আমাদের তো ভোটই লাগে না; আমরা যখন মনে করি, কেড়ে নিয়ে চলে যাই। যখন চাই অন্যকে নির্বাচন করতে দেই না। এখন আমি বলছি পুলিশ আমার হাতে আছে বিজিবি আমার হাতে আছে আমাকে কে সরাতে পারে।’

এই বিভাগের আরো খবর