মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৪ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯৪

ইডি-র দফতরে জেরা চলছে রিয়া চক্রবর্তীর,ক‍্যামেরা দেখেই লুকালেন মুখ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২০  

ED-র সমন পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে নিয়ে এদিন পূর্বনির্ধারিত সময়েই ইডির অফিসে আসেন রিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্যের পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই আর্থিক দুর্নীতির মামলা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় এর আগে অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুঁটিয়ে দেখার পরে, রিয়া চক্রবর্তী এবং সুশান্তের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।

এদিন দুপুর ২.৩০ নাগাদ ইডির অফিসে আসতে দেখা যায় শ্রুতি মোদীকে। সুশান্তের প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজার ছিলেন শ্রুতি। শ্রুতিকেও নিয়োগ করেছিলেন রিয়া। তিনটের দিকে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন সৌভিক। তবে রিয়াকে জেরা চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে জেরা শুরু হবে শ্রুতিরও। এদিন রিয়ার কললিস্ট থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। গত ছ'মাস রিয়া একাধিকবার কল করেছেন শ্রুতি ও মহেশ ভাটকে। প্রায় ৩০০ বারের বেশি তিনি ফোনে কথা বলেছেন মহেশের সঙ্গে। শ্রুতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ৮০০ বার। নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে। স্যামুয়েলকে সুশান্তের বাড়িতে নিয়োগ করেছিলেন রিয়াই। মুম্বই পুলিশ এদিকে জানিয়েছিল ১৪ জুনের পর থেকে তারা নাকি স্যামুয়েলের কোনও খোঁজ পায়নি। সুশান্তের বন্ধু স্মিতা পারেখের সন্দেহ পরিচিতদের নম্বর সেভ করা নেই এমন একটি ফোনই সুশান্তকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন রিয়া। এদিকে তিনি নিজে ব্যবহার করতেন সুশান্তের ফোনটি। বিজেপি নেতা আশিস সেলার এদিন বলেন, 'সুশান্তের মনোরোগ বিশেষজ্ঞও সব সত্যি কথা বলছেন না। এই যড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনিও যুক্ত। জেরা করা হোক তাঁকেও'।

রিয়া তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ইডির তলব স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এমনকী সুশান্তের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছেন তা যাতে পটনা থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয় তার জন্যও শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন রিয়া। আগামী সপ্তাহেই তার শুনানি রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর