শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় করোনার মধ্যেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা

হাবিবুল বাশার

প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ২৭ জুন ২০২০ শনিবার

বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে মহানগরীর ৪৯ নং ওয়ার্ডে মাদকের ব্যাপক প্রচলন পরিলক্ষিত হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তারপরও অনেকটাই প্রকাশ্যে ও গলিতে চলছে মাদক কেনাবেচা।
মহামারীর এই ক্রান্তিকালে যখন বাংলাদেশ এর সকল কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে তখন কিছু অসাধু মানুষ তার সুযোগ গ্রহণ করে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।

এর ফলে এলাকার সুশীল সমাজ এবং এলাকাবাসী এ ব্যাপারে খুবই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে   তরুণ ও যুব সমাজের ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠেছে।

সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড অনেকটা প্রকাশ্যেই কেনাবেচা হচ্ছে মাদক। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা আকৃষ্ট হচ্ছে এবং এ বিষয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছেন। 
এ ব্যাপারে  ৪৯ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বারবার অভিযান চালানোর পরও তার অগোচরে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।

মাদক বেচাকেনা এবং সেবনের সাথে জড়িত
রয়েছে  পুলিশের সোর্স নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তি।এর ফলে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। 

পত্রিকায় মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও মাদকের সাথে জড়িতরা কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারো চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা।
এছাড়াও ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হলেও বড় ডিলাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে মাদকের ব্যবহার আরো ভয়াবহ ভাবে বেড়ে যাবে এবং যুবসমাজ মাদকের করাল গ্রাসে নিষ্পেষিত হয়ে যাবে। মাদককে না’ বলতে হবে এবং মাদকের সাথে জড়িত যারাই থাকুক তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।

এলাকাবাসী মনে করেন প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে এবং সর্বস্তরের জনতা যদি মাদকের ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে সচেতন থাকে তাহলে অবশ্যই মাদক নির্মূল হবে এবং তখনই মাদকমুক্ত সমাজ করা সম্ভব হবে। আর তাতে করে মাদক থেকে মুক্তি পাবে আমাদের যুবসমাজ।