শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মার্কিন সৈন্য সরতেই সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে তুরস্ক

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৯:০৮ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। বুধবার তুরস্ক সীমান্ত লাগোয়া সিরিয়ার উত্তরের রাস আল আইন শহরে বিমান হামলার মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ করাই এ অভিযানের লক্ষ্য।

সিরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতভর তুর্কি সীমান্তে অবস্থান নেয় দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্তকে ওয়াশিংটনের প্রতারণা হিসেবে দেখছেন সমালোচকরা।

উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এসডিএফকে তুরস্ক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচনা করে। এসডিএফ তুরস্কের অভ্যন্তরে তৎপর কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দিচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে আঙ্কারা।

তুরস্ক ৪৮০ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত একটি সেফ জোন বা নিরাপদ এলাকা তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তুর্কি সৈন্যরা সিরিয়ায় যে সব এলাকায় ঢুকতে পারে, সেখান থেকে দুদিন আগে মার্কিন সৈন্যরা সরে যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে এসডিএফ।

তারা বলেছে, আইএসকে পরাজিত করতে এতদিন কুর্দিদের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের পিঠে ছুরি মেরেছে। এসডিএফ সাবধান করেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তুর্কি সামরিক অভিযানে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই অভিযানে হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের রক্ত বইবে।


তুরস্কের নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, সিরিয়ায় বিমান হামলার মাধ্যমে সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে।