বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

বরুড়ায় শতবছরের রাস্তা বন্ধ করায় জনদুর্ভোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৫৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার এগারোগ্রাম উত্তর-পূর্বপাড়ায় শতবছরের পুরনো জনচলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। রাস্তার মাঝখানে ঘর নির্মাণ ও মাটি কেটে বৃহৎ আকারের গর্ত করায় জনচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিবাদ করায় অবরোধকারীর আরোপিত মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকারও হয়েছেন তারা। জনচলাচলের একমাত্র রাস্তা অবমুক্তকরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সম্প্রতি কয়েক দফা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ওই গ্রামের মাওলানা আবদুল খালেক তার বাড়ির সামনে দিয়ে এলাকার মানুষের শতবছরের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল হক ও ইউপি মেম্বার কামাল হোসেনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।  অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে কয়েকদফা সালিশী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গত ২৯ জুলাই রাস্তাটি জনচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আবদুল খালেক কৌশলে ওই দিন রাস্তা সংস্কারের  ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে সাবেক ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম (৮০) সহ ১৫ জন গ্রামবাসীর নামে বরুড়া থানায় উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে গত ৪ আগস্ট কুমিল্লা ফোজদারী আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
সরেজমিন পরিদর্শনে এগারোগ্রাম উত্তর-পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবুল হাসেম, আবু তাহের, মোঃ সোহাগ, আমেনা বেগম ও রাবেয়া বেগমের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আরোপিত মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ওই পাড়ার ১৫জনকে। চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়।
ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি মেম্বার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে সালিশে উপস্থিত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমাকেও শেষ বয়সে এসে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হলো।’
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, ‘রাস্তার বিষয়টি আমরা কয়েকদফা সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করেছি। সর্বসিদ্ধান্তক্রমে শতবছরের পুরনো রাস্তাটি জনচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু জনাব আবদুল খালেক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে শুধু শুধু গ্রামের নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানি করছে।’