শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইরানের বিরুদ্ধে সুর নরম করছেন ট্রাম্প!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই শীর্ষ সহকারী বলেছেন, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া ইরানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কট্টরপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন চাপ সহজ না করতে যখন তিনি জোর দিচ্ছিলেন, তখনই বরখাস্ত হতে হয়েছে বোল্টনকে।-খবর এএফপির

যুদ্ধপিপাসু জন বোল্টনকে বরখাস্তের ঘোষণ এই আভাস দিচ্ছে যে, ইরানের ক্ষেত্রে নিজের মনোভাব সম্ভবত নরম করবেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইসরাইলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অঘোষিত পরমাণু তৎপরতার অভিযোগ তুলেছেন।

এ ছাড়া ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির সংশ্লিষ্ট কয়েকটি গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ট্রাম্পের এ দুই অনুগত ঘোষণা দিলেন, তারা ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে সই করা ইরানের পরমাণু চুক্তিকে বাঁচাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোনও কিছুটা এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গত বছর যে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখন পরিষ্কার করেছেন যে, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া একটি বৈঠকে বসতে পারলে তিনি খুশি হবেন। কিন্তু আমরা ইরানের বিরুদ্ধে চাপ অব্যাহত রেখে যাব।

হোয়াইট হাউসে মানুচিন যখন এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন, পম্পেও তখন তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় চলতি মাসের শেষের দিকে রুহানির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই।

বোল্টনকে সরিয়ে দেয়ার ৯০ মিনিটের মাথায় এমন ঘোষণা এসেছে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বোল্টনের চলে যাওয়ায় মার্কিন ইরান নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

মানুচিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, মাইক পম্পেও ও আমি ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার পক্ষে।

বোল্টনের সরে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান এক টুইটে জানায়, ওয়াশিংটনের চাপ ব্যর্থ হচ্ছে- এটি তারই প্রমাণ।