বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১   ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গোপসাগরে আঞ্চলিক সুনীল অর্থনীতির রূপান্তর চায় বিমরাড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

ভারতের ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশন (ঘগঋ)-এর আমন্ত্রণে সমুদ্র অর্থনীতি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ইওগজঅউ)। আগামী ২০ ও ২১ জুন দিল্লিতে বিমরাড ও এনএমএফ-এর মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এ সেমিনারের বিষয় ‘বঙ্গোপসাগরে আঞ্চলিক সুনীল অর্থনীতির রূপান্তর’। এই সংলাপ ও সেমিনারে যোগ দিচ্ছেন বিমরাড-এর চারজন প্রতিনিধি। এঁরা হলেনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও বিমরাড এর  অনারারি উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও বিমরাড এর উর্র্ধ্বতন রিসার্চ ফেলো ড. আফতাব আলম খান, বিমরাড এর উর্র্ধ্বতন রিসার্চ ফেলো কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার (এল), এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অবঃ) এবং বিমরাড এর মহাপরিচালক কমডোর কাজী এমদাদুল হক, (এল), বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, বিএন (অবঃ)।

দুদিনব্যাপী এই সেমিনারের মোট তিনটি বিষয় হলো (১), সমুদ্র অর্থনীতিতে সমবায় ও সহযোগিতামূলক পন্থা; (২), জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব এবং (৩), বঙ্গোপসাগরের অর্থনৈতিক একত্রীকরণের চালিকাশক্তি স্বরূপ কানেক্টিভিটি: সঙ্কট ও সম্ভাবনা। এই সেমিনারে সমুদ্র-বিশেষজ্ঞ চিন্তাবিদ এবং পন্ডিত, অংশীদারগণসহ বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করবেন। দুদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সংলাপ ও সেমিনারের লক্ষ্য হলো দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে সমুদ্র অর্থনীতি সংক্রান্ত সহযোগিতার বন্ধনকে শক্তিশালী করা। আশা করা যায় এই উদ্যোগ বাংলাদেশের বিমরাড এবং ভারতের এনএমএফ-এর মধ্যে সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণার তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে। 

১৮ জুন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিমরাড এর মহাপরিচালক কমডোর কাজী এমদাদুল হক, বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, বিএন (অবঃ)। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও বিমরাড-এর অনারারি উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি সম্পদ-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সৃষ্টির সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। সমুদ্র-সম্পদ আহরণ এবং সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য যে মেধা ও গবেষণা প্রয়োজন. সেখানে আমাদের দূর্বলতা রয়েছে। বিমরাড এই দিকটিতে অবদান রাখার চেষ্টা করছে। নতুন প্রজন্মের চিন্তাজগতে এই সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়টি প্রবেশ করাতে বিমরাড ভূমিকা রাখবে, আশা করি। আজ বিমরাড দিষ্ফতে ভারতের সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংলাপ করছে। আমি মনে করি, আগামীতে চীন, আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গেও সমুদ্র অর্থনীতি সংক্রান্ত সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করবে বিমরাড। সমুদ্রকেন্দ্রিক যে দুটি বড় অ্যালায়ে›স রয়েছে এ উপমহাদেশে, বাংলাদেশ উভয়ের মিলনকেন্দ্র হতে পারে। কেননা ওই দুই অ্যালায়ে›েসর সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। অতীতে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশরা চেয়েছিল বাংলাকে ভাগ করে এর শক্তি কমাতে। তাই তারা অবিভক্ত বাংলাকে খন্ড-বিখন্ড করার নীতি নিয়েছিল সমগ্র বাংলার শক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল বলেই। এইসব ভাগাভাগি করার পরও আমাদের বাংলাদেশ আজ বিশ্বে শক্তিশালী দেশ হিসেবে জেগে উঠেছে। তাকে আরো শক্তিবান করার জন্য সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। বিমরাড-এর গবেষণা কার্যক্রমও বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে সাংবাদিকরাও সহায়তা করতে পারেন লেখালেখির মাধ্যমে। এছাড়া, সমুদ্র রক্ষায় ‘‘প্লাস্টিক সন্ত্রাস’’ বন্ধ করা দরকার।  সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির উর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।