শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

দারুল ইহসানের সনদধারী কর্মকর্তাদের এমপিওভুক্তির দাবি

প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১১ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থী বা সনদধারীদের ক্ষেত্রে সরকারি বেতন-ভাতা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ভেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী এমপিও বঞ্চিত ফোরাম এ অভিযোগ করেন। ফোরামটির দাবি, দারুল ইহসান থেকে সনদধারীদের বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত (সরকারি বেতন-ভাতা প্রদান) করতে হবে।


তারা জানান, যথাযথভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমপিওভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন তারা। কিন্তু অন্য সবাই সরকারি বেতন-ভাতা পেলেও দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা তা পাচ্ছেন না।

ফোরামের আহ্বায়ক ও ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বকসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. ছিয়ামুল হক স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, সরকারের নির্দেশনায় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে সেসব কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে, যেসব কার্যক্রম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। সনদ অর্জনকারীর কার্যক্রম নয়। সুতরাং সনদ অর্জনকারীর কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা যথাযথ সিদ্ধান্ত নয়। তা অমানবিক।’


লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিভিন্ন অভিযোগে ২১০৬ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রায়ে এখন থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি এবং সনদ অর্জনকারীদের কার্যক্রম স্থগিত করতেও বলা হয়নি। রায়ের আলোকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০১৭ সালের ১৯ জুনে এক নোটিশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সনদ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলা হয়।

ওই নোটিশ ও মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সনদধারীদের এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর গ্রহণ করবে। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট এই আদেশ দেয়ার পর দিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা স্থগিত করে। এরপর এই আদেশ যথাযথ আছে কি না, জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। আইন মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির আদেশ যথাযথ আছে বলে মত দেয়।

পরবর্তীতে এই বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি। পক্ষান্তরে রায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ পরবর্তী সময় থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাইসহ প্রভাবশালী, ক্ষমতাবানদের আস্থাভাজন ব্যক্তিদের এমপিওভুক্তি অব্যাহত রয়েছে।

এ সময় তারা ১৫ জনের নাম ও কর্মস্থল তুলে ধরেন, যারা এমপিওভুক্ত হতে পারেছেন। তাদের বক্তব্য, দ্বিমুখী নীতি পরিহার করে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সবার এমপিওভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।