শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

নাসিমের আগুনে পুড়ে ছারখার ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

বিপিএলে এবার তার খেলার কথা শোনা যাচ্ছিল খুলনা টাইগার্সে। শেষমুহূর্তে দল পাল্টে হয়ে যান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। একদিন আগেই এসেছেন ঢাকায়। কিন্তু নাসিম শাহকে দেখে মনে হলো না কন্ডিশন, ভ্রমণকান্তি কিংবা প্রস্তুতির ঘাটতি বোধ করছেন। বিপিএলে এবার নিজের প্রথম ম্যাচেই রীতিমত আগুনঝরা বোলিং করলেন এই পাকিস্তানি পেসার।

মিরপুর শেরে বাংলায় নাসিমের আগুনে পুড়ে ছাই হলো ঢাকা ডমিনেটর্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারলো ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। নাসিম ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।  সাত ম্যাচে এটি কুমিল্লার চতুর্থ জয়, এখন তারা আছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ছয় নম্বর হার ঢাকার, নাসিরের দল তলানিতে।।

১৬৫ রান তাড়া করতে গিয়ে ৯ উইকেটে ১০৪ রানেই থেমেছে ঢাকা। দলের ব্যাটারদের মধ্যে কেবল উসমান গনি বিশের বেশি করেছেন। তবে তার ৩৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। অধিনায়ক নাসির হোসেন করেন ১৫ বলে ১৭। আরও একবার ব্যর্থ সৌম্য, আজ আউট হয়েছেন মাত্র ৩ করে। এর আগে ১৫ ওভার শেষে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের রান ছিল ৪ উইকেটে মোটে ১০৯। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে আরও ৫৫ রান যোগ করে ইমরুল কায়েসের দল। সেটা সম্ভব হয়েছে খুশদিল শাহ ও জাকের আলির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে।

খুশদিল ১৭ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। জাকের আলি ১০ বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন অপরাজিত ২০। সবমিলিয়ে ৬ উইকেটে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজিই পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (৩) হারায় কুমিল্লা। তাকে বোল্ড করেন আল আমিন হোসেন। এরপর লিটন দাস ২০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে নাসির হোসেনকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন।

মাঝে কিছুটা সময় দলকে ভরসা দিয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস আর জনসন চার্লস। ইমরুল ২২ বলে ২৮ আর চার্লস ২৫ বলে ৩২ করে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেন করেন ১১ বলে ৯। ইনিংসের তখন ২১ বল বাকি, কুমিল্লার বোর্ডে তখন মাত্র ১২২। সেখান থেকে খুশদিল আর জাকের ব্যাটে ঝড় তুলেছেন। খুশদিল আউট হওয়ার পর ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেছেন জাকের। তাসকিন আহমেদের শেষ ওভারে একটি ছক্কা আর চার হাঁকান তিনি। নাসির আরেকবার বল হাতে সফল। ১৯ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। তাসকিন ২৮ রানে আর আল আমিন ৩৩ রান খরচ করেছেন এক উইকেট পেতে।