শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

মেসার্স শাহ সাহেব ইটভাটা শেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মালিকে মেরে ফেলার হু

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার

 

চৌদ্দগ্রামের মেসার্স শাহ সাহেব ব্রিক্স ম্যানুফ্যাকচার নামক ইটভাটা বা ইটাখোলার ১৫.৩৭/৫০% শেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মালিক মাহাবুবকে গুম করে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করেছেন ইটভাটার অপর দুই শেয়ার হোল্ডার নব্য পাতি সন্ত্রাসী রোকন উদ্দিন টিপু ও কাজী জাফর আহমেদ। 
খামার পুষ্কুরণী ও সলাকান্দি এলাকার সচেতন মানুষের তথ্য মতে জানা যায় যে, গত ২০১০ই সাল হতে আলাপ আলোচনা ও শলা পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ১লা জুলাই ২০১২ইং সালে ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুরের পূর্বপাড়া অথ্যাৎ তিনপাড়া গ্রামের মরহুম লাল মিয়ার বড় ছেলে মাহাবুব এলাকার অল্প শিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে গ্রামের আশে পাশে একটি ইটভাটা বা ইটাখোলা তৈরী করে ইট ব্যবসার প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করেন । 

সে পরিকল্পনা অনুযায়ী সে নিজেই এককভাবে উদ্যোগ গ্রহন করে এলাকার অনেক বেকার যুবকের সাথে আলাপ আলোচনা করে অবশেষে ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়নের কাজী জাফর আহমেদ পরে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন, বর্তমানে সাবেক চেয়ারম্যান ধনুসাড়া গ্রামের মৃত জানু মিয়ার ছেলে জনাব কাজী জাফর আহমেদ নামে ২৫% শেয়ার, তুলা পষ্কুরণী গ্রামের মৃত আমান উল্লাহ মিয়াজীর ছেলে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মেম্বার এর নামে ১২.৫০% শেয়ার, ধনুসাড়া গ্রামের নায়েক মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ এনামুল হক স্বপন এর নামে ১২.৫০% শেয়ার, ধনুসাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে আলী হোসেন এর নামে ১২.৫০% শেয়ার, খামার পুষ্কুরণী গ্রামের মৃত আবু রশিদের ছেলে রোকন উদ্দিন টিপু এর নামে ১২.৫০% শেয়ার, ধনুসাড়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আমান এর নামে ১২.৫০% শেয়ার, আমানগন্ডা গ্রামের মৃত পছি উদ্দিনের ছেলে মোঃ আল রায়হান আলকাস এর নামে ৬.২৫% শেয়ার এবং তিনাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মাহাবুব এর নামে ৬.২৫% শেয়ারের ভিত্তিতে এই আটজন মিলে বহুবার বাড়ী ঘরে বসে অনেক দেন দরবার ও আলাপ আলোচনা ভিত্তিতে ধনুসাড়া গ্রামের জালাল মেম্বারসহ নানান শলা পরামর্শ করে মোট আটজন মিলে কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবি জনাব কে আর চৌধুরী কায়কোবাদ এর মাধ্যামে এবং চারজন স্বাক্ষী আবদুল হামিদ তালুকদার, মোঃ শাহাজাহান, মনোয়ার হোসেন ও এডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেনের উপস্থিতিতে দুই হাজার টাকার নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে গত ২৭ শে জুন ২০১৩ইং সালে একটি যৌথ অংশীদারী চুক্তিনামা বা অংশীদারী দলিল সম্পাদন করে ইটভাটার ব্যবসাটি সলাকান্দি বাজারের পশ্চিম পাশে এবং নাংগলিয়া নদী তথা খামার পুষ্কুরণী গ্রামের পৃর্বপাশে লন্ডন প্রবাসী বিএনপির জাসাস নেতা জনাব আরিফুর রহমান আরিফের বাড়ীর চারদিক ঘিরে মেসার্স শাহ সাহেব বিক্স ম্যানুফ্যাকচার নামে একটি ইটভাটা বা ইটাখোলার ব্যবসা শুরু করেন।

প্রথম এবং একমাত্র একক উদ্যোগক্তাকারী হিসেবে নিদিষ্ট শেয়ারের ভিত্তিতে মাহাবুব প্রাথমিক ভাবে ৬.২৫% শেয়ারের বিনিময়ে পনের লক্ষ টাকা পূজিঁ বিনিয়োগ করে ব্যবসায় অংশ গ্রহন করেন । অতি লাভের ব্যবসাটি শুরু করার পর পরেই ইটভাটার ব্যবসায় ভালোই লাভ হতে থাকে । মাত্রা অতিরিক্ত লাভের অংশ নিয়েই শুরু হয় বিভিন্ন দলাদলি কানাঘুষা ও কু-শলা পরামর্শ । যারা ইটভাটাটি পরিচালনার ও ব্যাংক হিসাব পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিশেষ করে কাজী জাফর, রিয়াজ মেম্বার ও নাটের গুরূ ক্রিমিনাল টিপুসহ তিনজনে মিলে কাউকে সঠিক হিসাব কিতাব দিতে মোটেও রাজি নয় বরং তাদের মধ্যে প্রভাবশালী শেয়ার হোল্ডারগণ অধিকতর দুর্বল ও সহজ সরল এবং অতি ভদ্র শেয়ার হোল্ডারগণের উপর আরো বেশী পূজিঁ বিনিয়োগ করার জন্য চাপ দেয়া শুরু করেন । ব্যবসাতে শুরু হয় তখন চরম মারামারি, হট্রোগোল, গোন্ডগোল ও মনোমালিন্য ।

 এরেই মধ্যে তারা তিনজন মিলে যারা চলে যেতে চায় তাদের শেয়ার কিনে নেয়া শুরু করেন । তখন মাহাবুব বললো আপনারা ভালো করে সঠিক হিসাব কিতাব দিতে না চাইলে আমাকেও বিদায় করে দিন আমিও চলে যাবো । তখন টিপুসহ তারা বলে আপনী যাবেন না, থাকেন, ভবিষৎতে ভালোই লাভবান হবেন । সে হিসেবে তারা সবাই মিলে তাকে তার শেয়ারের যত সামান্য অংশ ফেরত দিয়ে বলে আপনী নামে মাত্র থাকলেও ভবিষ্যতে আপনী বিশাল অংকের লভ্যাংশ পাবেন । ইনশাআল্লাহ । আপাদতঃ আমরা ইটভাটার লাভের অংশ দিয়ে যারা চলে যায় তাদের শেয়ার কিনে রাখবো । আপনী অপেক্ষা করুণ, ধৈর্য ধরুণ, আস্তে আস্তে আপনার লভ্যাংশ বাড়বে এবং শেয়ারের পরিমানও বাড়বে ।

 কিন্তু বেশ কিছু দিন গত হয়ে যাওয়ার পরেও তারা মাহাবুবকে আর কোন হিসাব কিতাব দেয় না বরং লভ্যাংশ বা হিসাব কিতাব চাইলে টিপু খুবই রাগ হয়ে যায় এবং মাহাবুবকে উল্টা পাল্টা কথা বলে আর মাহাবুবকে উচিত শিক্ষা দিবে হুমকি দেয় আরো অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে গুম করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দমকি প্রদর্শন করেন। তাদের মধ্যে একজন ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়ের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ আরেক জন ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের আইসিএলের টাকা চোর লুঙ্গীঁ চেয়ারম্যান আলমগীর কবির মজুমদার আলমের লতাপাতা মার্কা ভাগিনা খামার পুষ্কুরণী গ্রামে তথাকথিত বিখ্যাত চোর মরহুম আবু রশিদের ৪নং সতীনের ১নং ছেলে জারজ সন্তান রোকন উদ্দিন টিপু । তখন তাদের দুইজনের মধ্যে বিশেষ করে নব্য পাতি সন্ত্রাসী টিপুর ভয়ে স্ত্রী সন্তানসহ প্রাণে বেঁচে থাকার জন্য মাহাবুব মুখ খোলেনি তড়িঘড়ি করে রাতের অন্ধকারে কাউকে না বলেই দুবাই চলে যায় । 

মাহাবুব দুবাই চলে যাওয়ার পরেও তাকে কোন হিসাব কিতাব দেয়া হয়নি আট/দশ বছর । বরং মাহাবুব যতবার বিদেশ থেকে কাজী জাফর ও টিপুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছেন ততবারই টিপু তার সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করেছেন । এর মধ্যে তারা অন্য শেয়ার হোন্ডারদেরকে চরম অপমান অপদস্ত করে তারা দুইজনে মিলে নানান কারসাজি করে ইটভাটার লভ্যাংশ থেকে একে একে ৫জনের প্রত্যেককে পনের লক্ষ আসল বা পূঁজি ও চল্লিশ লক্ষ লভ্যাংশ দিয়ে মোট তিন কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫জন শেয়ার হোল্ডারকে বিদায় করে দিয়েছেন টিপু ও কাজী মিলে । আর এরেই মধ্যে ৫জন শেয়ার হোল্ডার বিদায় হয়ে চলে যাওয়ায় কাজী জাফর আহমেদ এর শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.২৫% আর রোকন উদ্দিন টিপুর শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৩৭/৫০% আর মাহাবুব এর শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৭/৫০%।
সুদীর্ঘ দশ/বার বছর মাহাবুব অপেক্ষা করার পরেও কাজী জাফর ও রোকন উদ্দিন টিপু মাহাবুব