জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ১০ মে ২০২২ মঙ্গলবার

ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃতির নাম জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। মর্যাদাজনক এই স্বীকৃতির স্বপ্ন দেখেন ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রতিটা মানুষ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। বুধবার (১০ মে) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা পুরস্কৃত হবেন। এবারের অনুষ্ঠানে ২০১৩-২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮৫ জনের হাতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। করোনা মহামারির কারণে এবারের আয়োজনে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন তিনি। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকের হাতে একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার একটি চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র তুলে দেওয়া হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠান সবশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেবার ২০১২ সালের নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর আবার মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সমর্থ হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এবার দেওয়া হচ্ছে টানা ৮ বছরের পুরস্কার। এ পুরস্কার প্রদানের আগে কখনও সংবাদ সম্মেলন করে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা না হলেও এবার ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘোষণা করা হল বিজয়ীদের নাম। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। নানা যাচাই/বাছাই শেষে আট বছরে সাকুল্যে ৮৫ জনকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
২০১৩-২০২০ সালের জন্য সর্বমোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ/ক্রীড়া সংগঠকের আবেদন পায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রাপ্ত আবেদন ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি যাছাই/বাছাইয়ের নিমিত্ত এ সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকে মন্ত্রণালয় থেকে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) এর নেতৃত্বে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি প্রাপ্ত আবেদনসমূহ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে সচিবের নেতৃত্বে গঠিত বাছাই উপ-কমিটি ওয়ার্কিং কমিটি থেকে প্রাপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির নিকট সুপারিশকারে উপস্থাপন করে। জাতীয় বাছাই কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে পুরস্কার প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১0 জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জন করে মোট ৮৫ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্বের জন্য সুপারিশ করা হয়।
২০১৩ সালের জন্য নির্বাচিত (১১) জন
(০১) মুজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি – খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)
(০২) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি - সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(০৩) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ভারোত্তোলন)
(০৪) সামশুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল)
(০৫) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(০৬) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(০৭) বেগম মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)
(০৮) মো: ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(০৯) বেগম জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(১০) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)
(১১) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ক্রিকেট)
২০১৪ সালের জন্য নির্বাচিত (১০) জন
(১২) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)
(১৩) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্রিকেট)
(১৪) মো: ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল)
(১৫) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি - সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(১৬) মো: ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(১৭) মোহাম্মদ এহসান নামিম, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি)
(১৮) বেগম কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(১৯) মো: সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(২০) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(২১) মো: জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
২০১৫ সালের জন্য নির্বাচিত (১১) জন
(২২) অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্যারম)
(২৩) মো: আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিক্স)
(২৪) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্রিকেট)
(২৫) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)
(২৬) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)
(২৭) বেগম ফারহাদ জেসমীন লিটি, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(২৮) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(২৯) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৩০) মো: জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৩১) বেগম জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ানডো)
(৩২) বেগম শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
২০১৬ সালের জন্য নির্বাচিত (১৩) জন
(৩৩) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৩৪) লেঃ কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি - সংগঠক (বাস্কেটবল)
(৩৫) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(৩৬) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ভলিবল)
(৩৭) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৩৮) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৩৯) মোহাম্মদ জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্রিকেট)
(৪০) মো: তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি - সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স)
(৪১) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)
(৪২) মো: তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি - সংগঠক (কুস্তি)
(৪৩) জেড. আলম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল ) (মরণোত্তর)
(৪৪) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)
(৪৫) কাজী হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড়
২০১৭ সালের জন্য নির্বাচিত (১১) জন
(৪৬) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)
(৪৭) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি - সংগঠক ( জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)
(৪৮) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (বাস্কেটবল);
(৪৯) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি - সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)
(৫০) মো: সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৫১) হাজী মো: খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (রোইং)
(৫২) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৫৩) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (টেবিল টেনিস)
(৫৪) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক)
(৫৫) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি - সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(৫৬) মো: মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি)
২০১৮ সালের জন্য নির্বাচিত (১০) জন
(৫৭) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স)
(৫৮) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(৫৯) মোঃ রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি - সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স)
(৬০) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৬১) মোঃ শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল)
(৬২) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)
(৬৩) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি)
(৬৪) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি - সংগঠক (রেফারী)
(৬৫) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৬৬) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি - সংগঠক (তায়কোয়ানডো)
২০১৯ সালের জন্য নির্বাচিত (১১) জন
(৬৭) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল)
(৬৮) মৃত অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি - সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স) (মরণোত্তর)
(৬৯) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি - সংগঠক (আরচারি)
(৭০) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ক্রিকেট)
(৭১) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি - সংগঠক (ফুটবল)
(৭২) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি - সংগঠক (শ্যুটিং)
(৭৩) বেগম মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৭৪) বেগম ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (সাইক্লিং)
(৭৫) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি)
(৭৬) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
(৭৭) বেগম সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস- বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)
২০২০ সালের জন্য নির্বাচিত: (৮) জন
(৭৮) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল (মরণোত্তর), ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় ও সংগঠক
(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা (মরণোত্তর), ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্রিকেট)
(৮০) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি - সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)
(৮১) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৮২) মো. মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (হকি)
(৮৩) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (দাবা)
(৮৪) বেগম মোছা: নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স)
(৮৫) আব্দুল কাদের স্বরণ, ক্যাটাগরি - খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন - বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)