শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

মেহেরপুরের গাংনীতে আফেল কুল চাষে স্বাবলম্বী কৃষকরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২২ রোববার

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করা হচ্ছে এ কুল।এবার উৎ্পাদনও বাম্পার হয়েছে বলে জানান চাষীরা।স্বল্প সময়ের অধিক লাভজনক এ ফসলটি চাষে কৃষকদের মধ্যে খুবই আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। 

 

গাংনীতে বাউ,নারিকেল,বিলেতিও আপেলকুলসহ বিভিন্ন প্রকার কুলের সুনাম রয়েছে দেশে।বর্তমানে  হাইব্রিড জাতের কুল চাষ স্বল্প খরচ, ঝুঁকি কম থাকায় এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় শিক্ষিত ও বেকার যুবকেরা কুল চাষের দিকে এগিয়ে আসছেন।কুল চাষ করে অনেকেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে।দূর করেছে বেকারত্ব,সৃষ্টি করেছে নতুন কর্মসংস্থানের।এউপজেলা ১৬০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে।

 

গাংনী পৌর শহরের আজিজুল হক রানু জানান,পরীক্ষামূলভাবে ৩বিঘা জমিতে বল সুন্দরী আফেল কুলের  চাষ শুরু করেন।চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলক হলেও প্রথম বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে তার ২লক্ষ  টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।বল সুন্দরী আফেল কুলের চাষ করছেন।বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২০ মন কুল পাবেন বলে জানান তিনি। 

 

গাংনী উপজেলা গাড়াডোব  গ্রামের আজিজুল হক জানান, গেল বছর ২ বিঘা জমিতে বল সন্দুরী আফেল কুলের বাগান করেছেন।চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন। এখনও ৬৫ হাজার টাকার কুল পাবেন বলেও আশা করছেন তিনি। তবে আপেল কুল বেশী জনপ্রিয় বলে জানান তিনি। 

 

গাংনীর মালসাদহ গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে বল সন্দুরী  আপেল ও কাশ্মীরি কুলের  বাগান করেছেন।একমাস যাবত কুল বিক্রি করছেন।৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়িরা এসে কিনে নেন এবং স্থানীয় বাজারে ৬৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। 

 

এবারে প্রতি হেক্টরে সাড়ে সাত টন কুল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন জেলা  কৃষি অফিসার ডাঃ স্বপন কুমার খা।কুল চাষ করে এ জেলার বহু বেকার যুবক ও চাষীরা তাদের বেকারত্ব দূর করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে।স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক পরিবার।গত বছর এ উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ করা হলেও চলতি মৌসুমে তা বেড়ে ১৬০ হেক্টরে দাড়িয়েছে।চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।