শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

ডাকাত ধরতে পারলে ৬০ হাজার টাকা পুরষ্কার

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কেরোয়া ইউনিয়নে ডাকাতি রোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি অস্ত্রের মুখে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

ফলে ডাকাতি রোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে মাইকিং ও একাধিকবার ওয়ার্ডগুলোতে মতবিনিময় করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ডাকাত ধরতে পাহারা দেয়া হচ্ছে।


এদিকে, ডাকাতকে আটক করে দিতে পারলে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সদস্য। এ সময় কেউ ডাকাত ধরতে গিয়ে আহত হলে চিকিৎসা ব্যয় বহনের ঘোষণা দেয়া হয়। একজন ডাকাত ধরে দিতে পারলে চেয়ারম্যান শাহজাহান কামাল ব্যক্তিগতভাবে ১০ হাজার টাকা ও ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবশেষ বুধবার গভীর রাতে উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর কেরোয়া গ্রামে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণ, টাকাসহ মালামাল লুটে নেয় ডাকাতরা। পরের দিন রাতে কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালানো হয়।

গত কয়েক বছর ধরে কেরোয়া ইউনিয়নে এক এসপির বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটছে। ডাকাত আতঙ্কে অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুর রহমান বলেন, রাতে প্রত্যেক বাড়ির সামনে ও পেছনের দরজায় বাতি জ্বালিয়ে রাখার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সভা করা হয়েছে। কেউ একজন ডাকাত ধরে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। চেয়ারম্যান দেবেন ১০ হাজার টাকা পুরস্কার। আহত হলে চিকিৎসা ব্যয় চালানো হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, এক সপ্তাহে ডাকাতি রোধে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার সভা করা হয়েছে। এতে থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের তদারকিতে রাত জেগে পাহারা ও প্রত্যেক বাড়ির সামনে ও পেছনের দরজায় বাতি জ্বালিয়ে রাখার জন্য সিদ্ধান্ত হয়।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ডাকাতরা আমার ঘরে ডুকে স্বর্ণ, টাকা, মোবাইল ফোন সেট নিয়ে গেছে। প্রতি রাতেই ডাকাতরা হানা দেয়। পুরো এলাকায় সন্ধ্যার নামলেই ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। রাতে আমরা না ঘুমিয়ে ডাকাত পাহারা দেই।

কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান কামাল বলেন, গত এক মাসে ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকটি ডাকাতি হয়েছে। পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে দফায় দফায় সভা করেছি। তাই ডাকাত ধরে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছি।

এ ব্যাপারে রায়পুর থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান বলেন, কেরোয়া সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হওয়ায় আমাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। ডাকাতি প্রতিরোধে সেখানে আমাদের চারটি টিম কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।