শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার

ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে একজন মুসলমানের ইমান আর ব্যাক্তি হিসেবে নিজের অনুভূতির জায়গা কখনো এক হতে পারে না। ধর্মে অন্ধ হয়ে অন্যের অনুভুতির জায়গায় আগাত করা ইসলাম শেখায় না। এই দুটো জিনিসকে এক করে কোন অশুভ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে নিজের পেইজ বুক পেজে একটি বাস্তবধর্মী স্টাষ্টাস দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার তৌফিকুর রহমান। তিনি জানান, দেশ কিভাবে চলবে তা মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০ লাখ মানুষ জীব দিয়ে ফয়সালা করে গেছেন।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের এ নেতার লেখাটি হুবহু তুলে ধলা হলো_
বাংলাদেশ ইসলামী শরিয়ার দেশ না। সেটাই যদি চলতো তাহলে চুরি করলে হাত কাটা হতো, মদ খেলে চাবুক মারা হতো। এসব অন্যায়ের বিচার কোরআনের আলোকে হতো। বাংলাদেশ চলে সংবিধান ও পেনাল কোডের মাধ্যমে। যেখানে মূর্তি বা ভাস্কর্য কোনোটা বানাতে কোনো বাঁধা নেই। যদি সংবিধান পছন্দ না হয়; ইসলামিক দেশে গিয়ে বসবাস করেন। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, প্রত্যেক দিন কোরআন তিলাওয়াত করি, ৩০ রমযান পালন করি তাই বলে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার করি না, মন্দিরে গিয়ে তাদের প্রতিমা ভাঙি না। আমার ইসলাম আমাকে এই ধর্ম শিখায় না, মানুষের মনে/ অনুভুতিতে আঘাত করা শিখায় না ।

বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির, ভাস্কর্য, মূতি সবই একসাথে থাকবে। ৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে এই ফায়সালা করে দিয়ে গেছে। এই নীতি পছন্দ না হলে যান বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু আপ্নাদের যাওয়ার জায়গাও নাই। কারণ নবী ও কোরআন-হাদিসের আলোকে কোন খেলাফত রাষ্ট্রতো নাই। যাবেন কই ?

যে নীতিতে ইসলামী দেশগুলো চলার কথা ছিলো। তারা নিজেরা নিজেরাই লড়াই করে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, খেলাফত ধরে রাখতে পারেনি সেই ইতিহাস পড়ে নিয়েন।

আমি একজন সহী প্রাক্টিসিং মুসলমান এবং ইসলামকে অন্তরে রাখি দেখেই আমার দেশে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সহ্য করব না।

আমি মুসলমান এবং আমি বঙ্গবন্ধুকেও ভালবাসি। একটা আমার ঈমান আর আরেকটা আমার অনুভুতির জায়গা। দুইটারে একসাথে পেঁচাইয়া কোন এজেন্ডা কোন অমানুষকে বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না । পায়ে পাড়াইয়া বাঝার খেলা বাদ দিন। মাদ্রাসার বাচ্চাদের কে রাস্তায় না পাঠায়া বুদ্ধিদাতারা আসেন। আপনারা যেমন শিক্ষক আমরাও শিক্ষক। আপনাদের যেমন ছাত্র আছে আমাদেরও আছে। পার্থক্য হল আমরা ইমানদার ও শিক্ষিত আর আপনারা ধর্ম্যান্ধ।