মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১   ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সৌদি ও দুবাই থেকে কেনা হচ্ছে ১৩ লাখ ক্রুড অয়েল

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

২০২১ সালে প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানি করবে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। এর মধ্যে আবুধাবি থেকে ছয় লাখ ও সৌদি আরব থেকে সাত লাখ টন। আমদানিতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ২০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এছাড়া ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব ছাড়াও আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০তম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৪ হাজার ১৯৮ টাকা। মোট অর্থায়নে জিওবি হতে ব্যয় হবে ২২৪ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ১২ টাকা এবং ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন ও দেশীয় ব্যাংক হতে ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৪৪০ কোটি ৪০ লাখ ১৯ হাজার ১৮৬ টাকা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ? মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব ছিল। তবে সেটি অধিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।

অনুমোদিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাফকো হতে সপ্তম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৬৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬২ টাকায় ক্রয়। কাতার হতে চতুর্থ লটে ২৫ হাজার টন (১০%+) ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯ হাজার ৬৮৭ টাকায় ক্রয়। এছাড়া কাতার হতে পঞ্চম লটে ২৫ হাজার টন (১০%+) বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার ৫৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৭ টাকায় ক্রয়। সৌদি আরব হতে চতুর্থ লটে ২৫ হাজার টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৫৬ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকায় ক্রয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন বিআরটিএর আওতায় পাঁচ বছর মেয়াদে ঢাকা মেট্রো-১ অফিসে ১২ লেনবিশিষ্ট ভিআইসি (ভেহিকল ইন্সপেকশন সেন্টার) স্থাপনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, হার্ডওয়্যার ইত্যাদি সরবরাহ, স্থাপন, পরিচালনা, মেইনটেন্যান্স ও মেয়াদ শেষে হস্তান্তরের লক্ষ্যে সার্ভিস প্রোভাইডারকে ১০৫ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৬ টাকায় নিয়োগের অনুমোদনও দেয়া হয়।

এছাড়া ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলা পুলিশ লাইনস এলাকায় একটি আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ সম্পাদনে ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭০ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। ‘বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকা গুলশান এলাকায় দুটি বেজমেন্টসহ ১৪তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্তকাজ সম্পাদনে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৮০৬ টাকায় অনুমোদন দেয়া হয়।