বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

যাত্রাবাড়ীর ২ আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা

প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবী জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্ত’র সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। আর এই আতঙ্কের মধ্যেও থেমে নেই দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ঢাকা ১২০৪, হাজী ইউনুস সুপার মার্কেট, হাউস ৮২/এ এর চতুর্থ তলায় অবস্থিত হোটেল নিউ পপুলার প্যালেস ও উত্তর যাত্রাবাড়ীর ছামীউল্লা প্লাজা হাউস ৪০/২ এর পঞ্চম তলায় হোটেল বলাকা আবাসিকের রমরমা বানিজ্য। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এই দুইটি আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদক বানিজ্য। সারা দেশে প্রশাসন ব্যাস্ত সময় পার করছে মহামারী করোনা ভাইরাস সতর্ক নিয়ে। ঠিক সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট পতিতা ব্যাবসা। হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবী যাত্রাবাড়ী মডেল থানার। কিন্তু সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত এই দুইটি আবাসিক হোটেল রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়।

আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের কাছে বিশ্ব জুড়ে মহামারী এই করোনার কোন ভয় নেই । গত শুক্রবার এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক এর কাছে।

হাঠৎ একটি যুবক আসে। প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানে পড়ে বলেন ভাই কাউকে খুজতে আসেন নাকি। তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। এখন সব কচি মাল। রেট একটু বেশি করোনার কারনে। চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই যাত্রাবাড়ীর এই দুইটি হোটেলে প্রতিদিনই চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা।

এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে এই দুই হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। এই দুইটি আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। যাত্রাবাড়ী মডেল থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে উল্লেখিত দুইটি আবাসিক হোটেল।

সরেজমিনে দেখা যায়, হোটেল নিউ পপুলার প্যালেস  এর মালিক সাইদুল ইসলাম, জামাল, কাদের, পাপন ও হোটেল বলাকা আবাসিকের মালিক পলাশ, সাইদুল ইসলাম (হোটেল নিউ পপুলার প্যালেস), মঞ্জুর হাসান, জুয়েল একটি সংঘবদ্ধ দল হয়ে ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া।

দৈনিক তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহে গেলে, প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তারপর হোটেল নিউ পপুলার প্যালেস এর মালিকপক্ষের একজন এসে প্রতিবেদক এর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর হোটেল বলাকা আবাসিকে গেলে তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায় হোটেল নিউ পপুলার প্যালেস-এ প্রবেশের পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে হোটেল বলাকা আবাসিকের কর্মীদের জানিয়ে দেয়।

এই বিষয়ে যাত্রাবাড়ী মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।