শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২৭৯

জাফলংয়ে দুবৃত্তের হাতে ক্যামেরাম্যান খুন, আটক ৪

জাকির হোসেন

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২০  

আবারও ক্যামেরার জন্য জীবন গেলো এক কিশোরের। পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে উজ্জল মিয়া (১৩) নামের এক ফটোগ্রাফারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইন ফোন নিয়ে পালিয়েছে পর্যটক বেশে আসা চার দুবৃত্ত। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
 
রোববার দুপুরে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার অদূরে মায়াবী ঝর্ণায় হত্যাকান্ড ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ১৫ জুলাই পর্যটন কেন্দ্র জাফলং থেকে সাদ্দাম হোসেন নামের অপর আরেক ফটোগ্রাফারকে একই কায়দায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় পর্যটক বেশে আসা দুই যুবক।

নির্মম এ হত্যাকান্ডের শিকার ওই ফটোগ্রাফারের নাম উজ্জল মিয়া পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে এবং স্থানীয় জাফলং আমির মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
 
এ নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুইজন ফটোগ্রাফারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তাদের ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

আর দিন দুপুরে একজন ফটোগ্রাফারকে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
 
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক বাবার অভাব অনটনের সংসারে খানিকটা অর্থের যোগান দিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি উজ্জল মিয়া ফটোগ্রাফার এবং ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতো।

প্রতিদিনের ন্যায় রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকালেও পর্যটকদের ছবি তুলতে জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকায় যায় ফটোগ্রাফার উজ্জল। দুপুর আড়াইটার দিকে পর্যটক বেশে আসা দুই যুবক ছবি উঠবে বলে জিরো পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে উজ্জলের সাথে চুক্তি করে।

চুক্তি অনুযায়ি ছবি উঠানোর কথা বলে তারা উজ্জলকে নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে মায়াবি ঝর্ণার দিকে যায়। যার এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে পর্যটক বেশে থাকা ওই দুই যুবক পিছন দিক থেকে উজ্জলকে এলাপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে ক্যামেরা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। যে বা যারাই এর সাথে জড়িত থাকুক তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরো খবর