শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৪৭

অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২  

স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে বাম দল ও কৃষক শ্রমিকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মান্ধ, স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নবিরোধী অপশক্তিরা এখনো খুবই তৎপর এবং নানান পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এ দেশটাকে স্বাধীন করার জন্য ১৪ দল, ওয়ার্কাস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দল আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সারা বিশ্বে দেশটাকে মর্যাদা ও সম্মানে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরতে পেরেছি।


শনিবার (১৪ মে) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যে কতোটা কৃষি ও পল্লীবান্ধব তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে- শুধু সারে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া। বিএনপির আমলে ২০০৫-০৬ সালে যেখানে মোট উন্নয়ন বাজেট ছিল মাত্র ২১ হাজার কোটি টাকা, সেখানে এ বছর বর্তমান সরকার শুধু সারে ভর্তুকি দিচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বছরে ভর্তুকি লাগতো সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা, দাম চারগুণ বাড়ায় এ বছর লাগছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি।

কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, জীবিকার জন্য ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি খুবই জটিল। কৃষিকাজ মৌসুমভিত্তিক, সারা বছর সব শ্রমিকের কাজ থাকে না। যখন কাজ থাকে না, তখন মজুরি কীভাবে দেওয়া হবে? এছাড়া চাকরি স্থায়ী করলে শ্রমিকেরা ঠিকমতো কাজ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, সারা বছর যে সংখ্যক শ্রমিকের কাজ থাকে, সেসব স্বল্প শ্রমিকের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া মজুরির পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে যেখানে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা লাগে, সেখানে একজন কৃষি ফার্ম শ্রমিক দিনে পাঁচশ টাকা মজুরি পান। এটি খুবই কম।


অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। তবে যারা দুর্নীতি করে বিশাল সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে, তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কৃষি ফার্ম শ্রমিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর