বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫২৭

সংলাপ প্রশ্নে পাল্টে গেল কাদেরের সুর

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯  

একদিন বাদেই পাল্টে গেল সংলাপ প্রশ্নে ক্ষমতাসীনদের সুর। সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সংলাপ নয়, গণভবনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ডাকা হবে।

অথচ তিনিই গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যেসব দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের আবার চিঠি দিয়ে সংলাপে ডাকবেন প্রধানমন্ত্রী।’

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নতুন নির্বাচনের পথ তৈরি করতে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছে।

এমন আহ্বানের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের কথা জানান।

তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব তারা বিবেচনা করবেন।

তবে সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সংলাপ প্রশ্নে নিজের অবস্থান বদলে বলন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো বিষয় নেই। যেই নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোথাও কোনো সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে, কোনো বিতর্ক, কোনো প্রশ্ন না করেই। সেখানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ নয়।’

সেক্ষেত্রে গণভবনে দলগুলোকে ডাকা হবে কেন— সেই উত্তরও দেন তিনি, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চিঠি দিয়ে আবারো তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর সেটা শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। এখানে কোনো সংলাপ নয়।’

এরপরই সেতুমন্ত্রী স্পষ্ট করেন, ‘কাউকে কোনো সংলাপের আমন্ত্রণ আমরা জানাচ্ছি না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর