বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১   ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৩১১

লাজুক হওয়ার যত বিড়ম্বনা

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০  

 

লাজুক হল ভীতি, স্বাচ্ছন্দ্যবোধের অভাবের একটি অনুভূতি। বিশেষ করে তখন, যখন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সন্নিকটে অবস্থান করে। এটি সাধারণত নতুন পরিবেশে অথবা অপরিচিত লোকের সামনে হয়ে থাকে। লাজুকতা সেসব লোকেদের একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে যাদের আত্মমর্যাদার অভাব রয়েছে। লাজুকতার অধিকতর প্রবল রূপ হল সামাজিক অস্থিরতা বা সামাজিক ভীতি। লাজুকতার অন্যতম প্রতিকার হল সামাজিক দক্ষতার উন্নয়ন। লেখাপড়ার তুলনায় সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণকে তেমন কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না। ফলে শৈশব থেকে কারো মধ্যে এমন স্বভাব থেকে যেতে পারে। আর এটা একটা সময় কর্মজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবন প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দেয়। তাই চলুন জেনে নেই লাজুক স্বভাবের মানুষের বিড়ম্ভনা সম্পর্কে।

যোগাযোগে ব্যর্থতা

লাজুক স্বভাব যে কোন মানুষকে যোগাযোগে ব্যর্থ করে দেয়। ফলে এতে করে সে কোন রকম যোগাযোগ করতে পারে না। বিশেষ করে পার্টিতে যাওয়া অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। মনে মনে চাইলেও অনেকেই ঘরভর্তি লোকের সামনে যেতে দ্বিধাবোধ করি। সোশ্যাল ফোবিয়া থাকলে ঘরে দোরগোড়াতেই দাঁড়িয়ে থাকবেন, ভিতরে ঢুকতে কুন্ঠাবোধ করবেন। এতে সকলে ভাবতে পারে যে বদ্ধ ঘরে ফোবিয়া আছে। শেষমেষ যখন ঘরে ঢুকলেন। তখন আপনার মনে হবে যে সবাই আপনাকে দেখছে। অনেকে পাব বা পার্টিতে যেতে গেলে তার আগে মদ্যপান করে নেন। যাতে একটু রিল্যাক্সড বোধ করেন এবং পার্টিটা উপভোগ করেন। তবে পরিস্থিতি যাই হোক লাজুক স্বভাব আপনাকে যোগাযোগে ব্যর্থ করে দিবে।

প্রতিবন্ধকতা তৈরি

বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। এখানে প্রতিনিয়ত আমরা প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকি। টিকে থাকার এমন প্রতিযোগিতায় অনেক সময় নিজেকে সেল করতে হয়, নিজের যোগ্যতা দেখাতে হয়। আর এর জন্য দরকার স্মার্ট হওয়া। নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে পারা। কিন্তু লাজুক স্বভাব নিজেকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। একটা বিষয় সব সময় খেয়াল রাখবেন, প্রতিবন্ধী মানে এই নয় যে কারো হাত বা পা নেই। বরং প্রতিবন্ধকতাই হল প্রতিবন্ধীতা। তাই প্রতিবন্ধকতা দূর করে এমন স্বভাব কাটিয়ে উঠুন।

নেতিবাচক ধারণা

লাজুক স্বভাবের মানুষের প্রতি অনেকেই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে। আবার কেউ কেউ ভেবে থাকেন লোকটা হয়তো অহংকারী। তাই কথা বলে না। অবাচনিক এক ধরণের যোগাযোগ আছে। অনেক সময় আমরা শুধু হাসি দিয়েই যোগাযোগ করি। প্রতিদিন এমন অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়। যাদের দেখলে শুধু হাসি দিলেই চলে। কথা বলা লাগে না। কিন্তু লাজুক মানুষ অনেক সময় এই হাসিটাও দিতে পারেন না। ফলে সবাই নেতিবাচক ধারণা করে বসে থাকে।

ব্যক্তিত্বহীন করে তোলা

লাজুক স্বভাব মানুষকে অনেক সময় ব্যক্তিত্বহীন করে তোলে। ব্যক্তি হিসেবে তার গুরুত্বও কমিয়ে দেয়। তাই সকলের উচিত লাজুকতা পরিহার করে প্রাণ খুলে হাসি দেওয়া। মন খুলে কথা বলা। এতে অন্তত কেউ ভুল করতে পারবে না, এমনকি ভুল বুঝতেও বাড়বে না।