শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭৭

রাতে আড্ডা বন্ধে পিরোজপুরে ১১০ শিক্ষার্থীকে আটক

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শিক্ষার্থীদের রাতে আড্ডা বন্ধে পিরোজপুরে মঙ্গলবার রাতে ১১০ শিক্ষার্থী ও তরুণদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের পরে পুলিশ নিজ নিজ অভিভাবকদের কাছে জিম্মায় ছেড়ে দেন। এর আগে গত সোমবার রাতে সহ মঙ্গলবার দুপুরে আরো ৯২ তরুণদেরকে আটক করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রায় সকলেই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের এমন অভিযানে স্থানীয় শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ব্যাপকভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

পুলিশের এ বিশেষ অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন জানান, ছেলেদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসতে বললে কখন যে আমাদের (পিতা-মাতা) চোখ ফাঁকি দিয়ে বাহিরে বের হয় তা বলতে পারি না। পুলিশের নেয়া এমন উদ্যোগে কিছুটা হলেও বাহিরে বের হওয়া ও পড়ার টেবিলে বসতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হবে।

মঙ্গলবার জেলার ইন্দুরকানী থানা পুলিশ আটক করেন উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আলী আহম্মেদের পুত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া রাকিব আহম্মেদকে। ওই রাতে থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুর রহমান খবর দেন রাকিবের পিতার কাছে। থানায় এসে হাজির তিনি। এ সময় তিনি জানান, পুত্র রাকিব মাহামুদ কখন যে বের হয় তা বলতে পারি না। কোন বাধা মানে না সে। তবে পুলিশের এমন অভিযানে তার পুত্র সহ স্থানীয় শিক্ষার্থী সহ সকল কিশোরদের রাতে বাহিরে বের হওয়ার প্রবণতা কমবে।

জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, কিশোর গ্যাং রোধে ও শিক্ষার্থীদের পাঠে ফিরে যেতে পুলিশের এ অভিযান।

থানা পুলিশ সূত্র জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১১০ জনকে আটক করেছে। এরা হলেন জেলার নাজিরপুর উপজেলা থেকে ১৭, নেছারাবাদ ৩০, কাউখালী ৪, ভান্ডারিয়া ১০ মঠবাড়িয়া ৯, ইন্দুরকানী ২৮ ও সদর উপজেলায় ১২ জনকে আটক করেছে।

এর আগে পুলিশ গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৯২ জন কে আটক করা হয়। এর মধ্যে পিরোজপুরর সদর উপজেলা হতে ৩০ জন, নাজিরপুর উপজেলা থেকে ২২ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলা হতে ১৭ জন, মঠবাড়ীয়া উপজেলা থেকে ৮ জন, ইন্দুরকানী উপজেলা হতে ১ জন, কাউখালী উপজেলা হতে ৪ জন এবং নেছারাবাদ উপজেলা হতে ১০ জন।

সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম জানান, শহরের বলেশ্বর ব্রীজ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে আটক করা হলেও পরে তাদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসব কিশোররা যাতে কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে এবং কোন গ্যাং সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্যই এ অভিযান।

এই বিভাগের আরো খবর