শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৯০

পুলিশ বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে বলেই সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি ও মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে পুলিশ। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশের এই অগ্রগতি ধরে রাখতে চাই।

রবিবার সকালে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ৩৬তম বিসিএস শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১০ বছরে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে ইতোমধ্যে প্রায় ৪৯ হাজার ২০০ পদ সৃজন করা হয়েছে। বর্ধিত জনবলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজীপুর ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে পুলিশের ‘এন্টি টেরোরিজম ইউনিট’, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ’, ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ২টি স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। ‘গার্ড অ্যান্ড প্রটেকশন পুলিশ’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসআই ও সার্জেন্ট পদকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ইন্সপেক্টর পদকে প্রথম শ্রেণি পদে উন্নীত করা হয়েছে। 
তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রদত্ত আইজিপি’র র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পুনঃপ্রবর্তন করে আইজিপি’র পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে আরও ৪টি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন, ৯৯৯, বিডি পুলিশ হেল্পলাইন এবং অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস চালু, পুলিশের বিভিন্ন স্তরে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা সর্বপ্রথম পুলিশে নারীদের নিয়োগ দেন। পুলিশের আবাসন, রেশন, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, উন্নত প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক, যানবাহন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধাপে ধাপে ৯৫ হাজার ১৫৬ জন পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে প্রায় দশ হাজার কনস্টবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। 

এসময় প্রধানমন্ত্রীকে প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারি ও পুলিশ একাডেমির কমাড্যান্ট নাজিবুর রহমান।

এই বিভাগের আরো খবর