শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৬

পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

জয়পুরহাটের পাঁচবিবির একমাত্র ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ”মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ”। এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যায়নরত সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর যাতয়াতের জন্য একটি মাত্র বাস। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতয়াত সুবির্ধাতে ৫২ সিটের একটি বাস প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করেছিলেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ যদিও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তির সময় বাসভাড়ার টাকা কেটে নেয়। ভাড়া নিলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীরাই বাসে চড়তে পারেনা। বাসটি দীর্ঘদিন রাস্তায় চলাচল করে বর্তমানে একেবারে লক্কর-ঝক্করে পরিনত হয়েছে। বাসটির আসনের দ্বিগুনের অধিক শিক্ষার্থীরা বাদুড় ঝোলা হয়ে শাধুমাত্র জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-কলেজ রাস্তায় চলাচল করে। বাসটি জয়পুরহাট-পাঁচবিবি রাস্তায় শিক্ষার্থী পরিবহন করলেও অন্য রাস্তায় চলাচল করেনা। এ কলেজে অধ্যায়নরত অন্য এলাকার শিক্ষার্থীরা বাসভাড়া দিলেও বাসে চড়তে পারেনা।

 

উপজেলার শালপাড়া এলাকার একাদ্বশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মোছা আমেনা খাতুন বলেন, পাঁচবিবি শহর পর্যন্ত কলেজ বাসে যেতে পারলে আমার বাড়ির অর্ধেক পথ যাওয়া হত। এতগুলো ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি মাত্র বাস। বাসটিতে তিল পরিমান জায়গা নেই সেকারনে ভ্যানেই কলেজে যাতয়াত করি আমিসহ প্রায় সবাই বলেও জানান আমেনা।

কলেজের পূর্বদিক সরাইল গ্রামের একই ক্লাসের ছাত্র রিয়াদ হোসেন বলেন, ভর্তির সময় বাসভাড়া ঠিকই নিয়েছে কিন্ত কোনদিনও কলেজ বাসে উঠতে পারলাম না। কারন বাসটি আমাদের ওইদিকের রাস্তায় যায় না শুধু জয়পুরহাট-পাঁচবিবির রাস্তায় চলাচল করে। কলেজ চত্বরে বাসটিতে দেখাযায় গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার জন্য বাসে উঠেছে।

 

জয়পুরহাট এলাকার একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যদিও প্রতিদিন কলেজ বাসে যাতয়াত করি কিন্ত আমাদের অন্য এলাকার সহপাঠিরা এ সুযোগ পায়না। উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষর নিকট তাদের দাবী কলেজে আরো বাস বরাদ্দ দেওয়া হোক যাতে আমাদের মত সবাই বাসে চলাচল করতে পারেন। এসময় তারা কলেজ হোস্টেলেরও দাবী জানান। এশিয়া উপমহাদেশের বর্ষীয়াণ মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৬৯ সালে পাঁচবিবি শহরের দেড় কিঃমিঃ পূর্বদিক মহীপুরে কলেজটি স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করন হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুভাশীষ কুমার মন্ডল বলেন, এতগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাত্র বাস একারনে সবাইকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাসে আনানেওয়া করতে পারেনা। তবে শিক্ষক/শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য বাস চেয়ে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষর নিকট আবেদন করা হয়েছে বলেও অধ্যক্ষ সাহেব বলেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর