শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২৩

ছবি বিকৃতি করে আপত্তিকর পোস্ট, বিচার চাইলেন শেহলা রাশিদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সম্প্রতি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্র সরকার। তার পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিএসএফের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সরব হন ভারতীয় নাগরিক জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে বাসিন্দা শেহলা রশিদ। তারপরেই কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অত্যাচার চালিয়েছে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তারপর থেকেই তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সামালোচনা। পরে কাশ্মীরের ছাত্রনেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের পিপলস মুভমেন্টের নেতা শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।

কিন্তু থেমে যাননি তিনি। কথা বলেছেন শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ শেহলার বক্তব্য, এফআইআরটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কণ্ঠস্বর রোধের চেষ্টা। তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলাম, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই টুইটটি লেখা হচ্ছে। যেখানে সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া, টেলিফোন, পোস্টাল যোগাযোগকে বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেখানে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরা খুব দরকার ছিলো। যাতে দেশের অন্য প্রান্তের মানুষও জানতে পারেন, কাশ্মীরে কী হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি আমার কাজ করেছি মাত্র। যে টুইটের জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাতে আমি প্রশাসনের ইতিবাচক কাজের উল্লেখও করেছি।

কাশ্মীরিদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রোলডের শিকার হয়েছেন এই নারী নেত্রী। তার একটি ছবি এডিট করে হেনস্থা করা হয়েছে। এই হেনস্থার বিচার চাইতে টুইটারে আবারো সরব হয়েছেন তিনি। এক টুইটে ওই ছবিটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় দিল্লি পুলিশ, আমার একটি ছবিকে এডিক করে অশ্লীল ছবিতে রূপান্তর করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? আমাকে যারা হেনস্থা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?’

এই বিভাগের আরো খবর