শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৮৫

গ্রেপ্তারের আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে  বিএনপির একাধিক নেতা কর্মী

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় করা পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলটির নেতা-কর্মীরা এখন বাড়িছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।বিএনপির নেতারা বলছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে বেশির ভাগ নেতা-কর্মী বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

পৃথক তিনটি মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকারসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলা পরিচালনার জন্য জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার বিকেলে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আইনজীবী মজিবুর রহমানকে মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেনকে সদস্যসচিব করে ৫১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা বিএনপি নেতা স্নেহাংশু সরকার বলেন, ‘হামলা ও মামলার পর ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা তাঁদের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি খুঁজছে। পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। রাস্তাঘাটে হামলা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পিটিআই সড়কে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি বিশ্বাসকে (৩৭) পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা শহরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমাদের নামে মিথ্যা ও ভৌতিক মামলা করেছে। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আইনের মাধ্যমেই আমরা এর মোকাবিলা করব।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শনিবার সকালে পটুয়াখালী শহরের বনানী মোড় এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আয়োজন করা হয়। একই সময় পৌরসভা মোড়ে জেলা যুবলীগের পাল্টা শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি এবং পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে প্রথম মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রায়হান হোসেন। এ মামলায় জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রোববার সকালে অপর মামলাটি করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন। এ মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর