শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৪৯

বাজেট পেশ কাল

কমবে ভ্যাট ও করের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯  

ভ্যাট ও করের চাপ কমিয়ে জনতুষ্টির বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটের জন্য তিনি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন পেশ করবেন।

কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন সমস্যাকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অর্থবিভাগ। এজন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হচ্ছে। প্রত্যেক পরিবারে অন্তত একজন করে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিটি উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করা হবে। কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটনোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এদিকে এবারের বাজেটের শিরোনাম ঠিক করা হচ্ছে সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের”। এই শিরোনামে বাজেটের ডকুমেন্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বাজেট পেশের দিন বক্তৃতাসহ ১২টি বাজেট ডকুমেন্ট সংসদ সদস্যের হাতে দেওয়া হবে। তবে ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে বাজেট ডকুমেন্টসের সংখ্যা হতে পারে ২৬টি। আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টায় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এবারের বাজেটে কমানো হতে পারে কর্পোরেট কর হার। এছাড়া বাজেটে রাস্তাঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন উন্নয়ন, করকাঠামোর পুনর্বিন্যাস, আর্থিক ও শিক্ষা খাতের সংস্কারে পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুখবর দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ সমাপ্ত করতে থাকছে বিশেষ নির্দেশনা।

সূত্র জানায়, বিদেশে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির জন্য সরকারি বেসরকারি উভয় পক্ষেই জোর তৎপরতা চালাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসরকারিভাবে যদি কেউ নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে তাহলে তাদেরকে বিভিন্ন রেয়াতি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এমন ঘোষণা থাকবে আসন্ন বাজেটে।

আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হচ্ছে। যদিও চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি খাতের বাম্পার ফলন আর উচ্চ রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার।

এছাড়া নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি হবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। আর বর্তমান সরকারের টানা ১১তম এবং আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনকালের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট এটি।

বাজেটের আকার: আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে আকার চ’ড়ান্ত করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

এ ব্যয়ের বড় একটি অংশ যাবে পরিচালন খাতে। এতে ব্যয় হবে ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় হবে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। যার একটি বড় অংশ ব্যয় হবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে। আগামী অর্থবছরে এডিপি খাতে ব্যয় হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। আবর্তক খাতের আরও একটি অংশ ব্যয় হবে সুদ পরিশোধে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় করা হবে ৪ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করা হবে ৫২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

ব্যয়ের আরেকটি খাত হচ্ছে এডিপিবহির্ভূত প্রকল্প। এ খাতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি স্কিমে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূলধনী খাতে ব্যয় হবে ৩২ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা, খাদ্য হিসাবে ৩০৮ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম খাতে ব্যয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ৯৩৭ কোটি টাকা।

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: বাজেট প্রস্তাবে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ আয় হবে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। চলতি বছর মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ১০৩ কোটি টাকা, এটি জিডিপির ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআর কর রাজস্ব পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। এনবিআরবহির্ভূত কর রাজস্ব পরিমাণ ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। কর ব্যতীত আয় হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ আগামী বছরে দাঁড়াবে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।

এডিপি আকার: আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৫৬৪টি। এরমধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৬টি, জেডিসিএফ প্রকল্প ১টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে ৮৯টি ও বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৩৫৮টি। অন্যদিকে, অসমাপ্ত প্রকল্প সমাপ্ত করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্প ধরা হয়েছে ৩৫৫টি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) প্রকল্প ৬২টি। বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প ২৪২টি এবং নিজম্ব অর্থায়নে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৪৫টি। বরাদ্দসহ অনুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ৪১টি।

চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বাড়ছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে এডিপি ধরা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। এবারের এডিপিতে সর্বাধিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহণ ও শিক্ষা খাতকে।

ঘাটতি: বিশাল আকারের বাজেটে বাড়বে ঘাটতিও। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণের বরাবরের মতো সরকারকে অভ্যন্তরীন কিছু উৎসের ওপর নির্ভর করতে হবে। এজন্য বাড়ানো হচ্ছে ব্যাংক ঋণের পরিকল্পনা।

অন্যদিকে কমিয়ে আনা হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা। এতে বাজেটে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ সরকারকে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ অপেক্ষাকৃত কম টাকা গুনতে হবে। তবে বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। তাদের মতে, সরকার ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যাবে। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীন উৎসব থেকে ঋণ নেওয়া হবে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে প্রায় ৬১ হাজার কোটি টাকা।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি: আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ অর্জন হবে- এমন প্রত্যাশা থেকেই আগামী অর্থবছরের এ লক্ষ্য স্থির করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি রফতানি ও রাজস্ব আয়ের গতিশীলতার কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহায়ক হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। যা প্রবৃদ্ধি অর্জনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।

মূল্যস্ফীতি: ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কম থাকবে। অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা নিম্নমুখী থাকবে। ফলে দেশের ভেতর পণ্যের দাম বাড়বে না- এমন আশা থেকেই নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

করকাঠামোতে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন: নতুন ভ্যাট আইন-২০১২ আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এরজন্য করকাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনার কথা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ের শুল্ক কাঠামো। যেমন গাড়ী, বিলাসবহুল পণ্য, প্রসাধনী চকলেট এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে করকাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্বার্থে কর্পোরেট করহার কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সরাসরি ভোক্তাকে আঘাত এমন কোন খাতে কর বাড়ানো হবে না। কর দিতে গিয়ে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। এজন্য প্রতিটি উপজেলায় কর অফিস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সংস্কারের ঘোষণা: আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট হবে সংস্কারমুখী। ব্যাংক ও ভ্যাট খাতে থাকছে ব্যাপক সংস্কার। অর্থবছরের শুরুতেই নতুন ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন (২০১২)’ কার্যকরের ঘোষণা থাকছে। সংস্কারের আওতায় থাকবে ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্র ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি খাতও। তবে জনগণকে রাখা হবে ভ্যাট ও করের চাপ মুক্ত। খুব বেশি কর চাপানো হবে না। কর্পোরেটসহ ক্ষেত্র বিশেষে কর হার কমানো হবে। ঘোষণা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির। ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কিছু ননএমপিও শিক্ষকের একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্তির যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকেত পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছরের এমপিও আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা: সুবিধা বঞ্চিত, হরদরিদ্র, বিধবা, অসচ্ছল মানুষ, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় সব ধরনের ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে আগামী বাজেটে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নতুন করে ১৩ লাখ মানুষকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে মোট সুবিধভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৮৯ লাখ মানুন। যা চলতি বাজেটে ছিল প্রায় ৭৬ লাখ। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদ মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আগামী অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া নিয়ে পত্র-পত্রিকায় যেসব লেখা এসেছে তাতে প্রক্রিয়াটিকে বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। এজন্য কমিশন গঠন করে কর কাঠামো সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ও একটা বড় ব্যাপার। দুর্নীতি, অদক্ষতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নানা কারণে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন। দিনের পর দিন ভর্তুকি দিচ্ছে। বলা হয় ঋণ আদায় হয় না। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে আয় বৈষম্য কমে আসবে।

থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) সাদা করার সুযোগ থাকছে। ১০ শতাংশ কর দিয়ে শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করা যাবে। তবে এ সুযোগ তারাই পাবেন, যারা শুধু উৎপাদনমুখী শিল্প খাতে বিনিয়োগ করবেন। আগামী এক বছরের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হবে। এখন শুধু ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর